হোলি খেলার প্রথম প্রচলন করেছিলেন শ্রীকৃষ্ণ এমন গল্পই শুনে আসছেন মানুষ। প্রেমের দেবতা শ্রীকৃষ্ণ প্রথম রাধার মুখে রং লাগিয়ে এই রং খেলার সূচনা করেছিলেন। কিন্তু আদৌ কি জানেন প্রথম রং খেলার সূচনা করেছিলেন কৃষ্ণ নন ভগবান শিব। এই হোলি খেলা হয় দেবলোকে। হরিহর পুরান অনুযায়ী জানা যায় সবার প্রথম হোলি খেলেছিলেন মহাদেব এই হোলি খেলায় উপস্থিত ছিলেন কামদেব এবং তার স্ত্রী রতি।
পুরান অনুযায়ী কৈলাসে তখন ধ্যানে মগ্ন ছিলেন মহাদেব। সেই সময় স্বর্গকে আক্রমণ করেন তারকা সুর। ওই অসুরকে বধ করার জন্য মহাদেবের সাহায্য প্রার্থনা করেন দেবতারা। মহাদেবের জাগ্রত করা তখন কারোর পক্ষে অসম্ভব ছিল সেই সময় রতি ও মদন দেব মহাদেবের ধ্যানভঙ্গ করতে তার সামনে গিয়ে নৃত্য করতে শুরু করেন। এই নাচ দেখে বিরক্ত হয়ে চোখ খোলেন মহাদেব।
তিনি অত্যন্ত ক্রুদ্ধ হয়ে যান। তিনি রাগান্বিত হয়ে তার তৃতীয় নয়ন উন্মোচন করেন। সেই তৃতীয় চক্ষুর আগুন দিয়ে তিনি ভস্ম করে দেন মদন দেবকে। কিন্তু রতি সেই সময় খুব কান্নাকাটি করেন আর তাকে দেখে মন গলে যায় মহাদেবের। তার প্রার্থনায় তিনি মদন দেবের প্রাণ প্রতিষ্ঠা করেন।
আরো খবর: চলন্ত গাড়িতেই Heart Attack, প্র’য়া’ত কিংবদন্তি অভিনেতা সতীশ কৌশিক
এরপর রতি ও কামদেব দুজনে মিলে ব্রজ মন্ডলে ব্রহ্মা ভোজের আয়োজন করেন। সেখানে আমন্ত্রিত ছিলেন সব দেবদেবীরা। এই ভোজ যেদিন আয়োজন করা হয় সেদিন ছিল ফাল্গুনী পূর্ণিমা। সবার কপালে চন্দনের তিলক পরিয়ে দেন রতি। হরিহর পুরানে লেখা রয়েছে ব্রহ্মভোজের অনুষ্ঠান শিব শংকর ঢোল বাজান আর বিষ্ণুর বাঁশি বাজান।
পার্বতী এই দিন বিনা বাজান ও সরস্বতী বসন্তের গান করেন। আর আবির নিয়ে খেলা করেন মহাদেব। সেই থেকে নাকি মর্ত্যে প্রতিবছর পালিত হয় দোল উৎসব। তাই অবশ্যই দোল খেলা শুরু করবার আগেই ঠাকুরের পায়ে একটু আবির দিয়ে দিন।