বর্তমান পরিস্থিতিতে একের পর এক দক্ষিণী সুপারহিট ছবির সামনে পড়ে বলিউড একেবারে ধূলিস্যাৎ হয়ে যাচ্ছে। তাই অনেকেই এই বিষয়ে ভাবছেন, তাহলে কি দক্ষিণী ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির কাছে বলিউড হেরে যাচ্ছে! পুষ্পা, বাহুবলী, কেজিএফ, আরআরআর এই সব দক্ষিণী সিনেমা গুলি এতই জনপ্রিয় হয়ে উঠছে যে মানুষ ভেবেই পাচ্ছে না কাকে ছেড়ে কাকে দেখবে।
আর বলিউডের পরিস্থিতি এখন এমনই যে তিন খান এবং কুমারদের বিগ বাজেটের ছবির উপরেও ভরসা রাখা যাচ্ছে না। তাই বলিউডের এই দুর্দিনে আশার আলো কারা? সে প্রসঙ্গে উঠে আসছে নতুন প্রজন্মের নায়ক-নায়িকাদের নাম। তাদের মধ্যে অন্যতম হলেন বলিউডের চকলেট বয় তথা তরুণীদের জাতীয় ক্রাশ কার্তিক আরিয়ান।
কারণ সাউথের সিনেমার বিরাট দাপটের সামনে অনেকটাই সাহস নিয়ে দাঁড়িয়েছে কার্তিক আরিয়ান, কিয়ারা আদবানি অভিনীত ‘ভুলভুলাইয়া ২’। এই সিনেমার হাত ধরে বলিউড ইন্ডাস্ট্রি পুনরায় মাথা তুলে দাঁড়ানোর সাহস পেয়েছে। বছরের সেরা হিন্দি সিনেমার রেকর্ড গড়েছে এই সিনেমাটি।
আরো পড়ুন: গোলাকার আ’কৃ’তি’র এই পাথরের রহস্য আজও অ’জা’না! কি বলছেন বিজ্ঞানীরা?
তাহলে তো বোঝাই যাচ্ছে যে নেটিজেনরা ইতিমধ্যেই খুঁজে পেয়ে গেছে বলিউডের নতুন ‘কিং’কে! নেটিজেনদের রায়ে, শাহরুখের পর বলিউডে তার যোগ্য উত্তরাধিকারী কার্তিক আরিয়ান ছাড়া আর কেউ নয়। নেটিজেনদের চোখে ধরা পড়েছে শাহরুখের সঙ্গে কার্তিক আরিয়ানের অনেক ক্ষেত্রে মিল রয়েছে।
এই যেমন ধরুন বলিউডে দুজনেই যখন কেরিয়ার গড়তে আসেন তখন কারোরই কোনো সাপোর্টার অর্থাৎ গডফাদার ছিল না। নিজের পায়ের তলার মাটি শক্ত করতে কার্তিকের লড়াইটা শাহরুখেরই মতো। তারা আজ পর্যন্ত যা যা সুপার হিট ছবি দর্শকদের উপহার দিয়েছেন সবটাই নিজেদের দমে।
বরাবরই কার্তিকের কেরিয়ার গ্রাফ বেশ হাই। আর ইয়াং জেনেরেশন বিশেষ করে তরুণীদের মাঝে বলিউডের এই চকলেট বয়ের জনপ্রিয়তা যে কতটা তা ভাষায় বর্ণনা করা যায় না। তবে নতুন ‘কিং’ সম্বোধনে কার্তিক আরিয়ান বেশ অস্বস্তিতে পড়েছেন। এ প্রসঙ্গে কার্তিক বলেন, “আমার মনে হয় না এখনই আমার ‘কিং’ সম্বোধনটা গ্রহণ করার সময় এসেছে বলে।
কারণ এই তো সবে শুরু, এখনও অনেক পথ এগোতে হবে। প্রথম ছবি থেকেই দর্শক আমাকে এতটা ভালোবাসা দিয়েছেন, এতে আমি ভীষণ খুশি। শুরুর দিকে ‘সোনু কি টিটু কি সুইটি’, থেকে শুরু করে বর্তমানে ‘ভুলভুলাইয়া টু’ – একের পর এক সবকটা ছবিই বক্স অফিসে ভালো ব্যবসা করেছে।
আরো পড়ুন: এবার মধ্যপ্রদেশ, ব্লেড কা’ণ্ডে জ’ড়ি’ত অভিযুক্তদের বাড়ি মাটিতে মি’শি’য়ে দেওয়া হলো
ব্যস, আমি যেন দর্শকদের এইভাবেই বিনোদন দিতে পারি, এই চাওয়াটুকুই আমার আছে”। তারপর তিনি মজা করে বলেন, কিং নামটা না হয় নাই নিলাম, আপনাদের ভালোবাসা স্বরূপ আমি ‘প্রিন্স’ নামটা নিতে চাইব।”
তবে গডফাদার ছাড়া বলিউডে টিকে থাকা বেশ কঠিন। তাই শুরুর দিকে বলিউডে আসার সময়টা কার্তিকের কাছে খুব সহজ ছিল না। বলিউডের নামকরা প্রযোজক করণ জোহরের সঙ্গে মনোমালিন্যে জড়িয়ে পড়েছিলেন তিনি, আর তার জেরেই একের পর এক ছবি হাতছাড়া করতে হয়েছিল তাঁকে।
কিন্তু এতকিছুর পরেও কার্তিক দাঁতে দাঁত চেপে নিজের লড়াই চালিয়েছেন এবং সেই সাথে এও প্রমাণ করে দেখিয়েছেন যে তিনি সত্যিই বলিউডে রাজত্ব করার ভাগ্য নিয়ে জন্মেছেন। তাই তো বলিউডের তাবড় তাবড় মাথাদের সঙ্গে সমানে সমানে টক্কর দিয়ে প্রমাণ করে দেখিয়েছেন নিজের যোগ্যতা এবং নতুন ‘কিং’ নামে আখ্যায়িত হয়েছেন সুপারস্টার কার্তিক আরিয়ান।
