সব খবর সরাসরি পড়তে আমাদের WhatsApp  Telegram  Facebook Group যুক্ত হতে ক্লিক করুন

মাতৃগ’র্ভে কোন কোন ভুলের কা’র’ণে তৃতীয় লি’ঙ্গে’র জ’ন্ম হয়?

সমাজে এমন এক শ্রেণী আছে যাদের রাস্তাঘাটে দেখতে পেলে আজও মানুষ এড়িয়ে চলে। আড়ালে আবডালে তাদেরকে নিয়ে হাসাহাসি করে। আজও সমাজের প্রত্যেক পদে তাদের জন্য আলাদা নিয়ম। তারা হল নপুংসক। চলতি কথায় তাদের হিজড়াও বলা হয়। আজও যেন সমাজের চোখে তারা অচ্ছুৎ। তাই স্বাভাবিকভাবেই নপুংসকদের নিয়ে মানুষের কৌতূহলেরও শেষ নেই, আবার প্রশ্নেরও শেষ নেই। কেন এই একটা শ্রেণীর প্রতিই এত বিধিনিষেধ? এই নিয়ে আলোচনা চলে আসছে বহুকাল ধরে। আর সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ একটি প্রশ্ন হল মাতৃগর্ভে এই নপুংসকদের জন্ম হয় কিভাবে? অনেকেই বলে থাকে বা অনেকেরই ধারণা আছে যে বাবার-মায়ের কোনো দোষের কারণেই হিজড়া সন্তানের জন্ম হয়।

তবে ওসব মনগড়া ধারণার কোনো ভিত্তি নেই। চিকিৎসাশাস্ত্র অনুসারে, কোন মহিলা অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার তিন মাস পর থেকে গর্ভের ভেতর ধীরে ধীরে শিশুর বিকাশ শুরু হয়। ফলে এই সময় তাদের শরীরে হরমোনাল পরিবর্তন ঘটে যার ফলে সন্তান জন্মের সম্ভাবনা বাড়ে। কোনো কোনো গর্ভবতী মহিলা আবার প্রথম তিন মাসের পর থেকে জ্বরে ভোগেন এবং তারা তখন তা থেকে সুস্থ হওয়ার জন্য বিভিন্ন ধরনের ওষুধ খান। জ্বরের ওষুধগুলো যে তীব্র মাত্রার হয় তা আমরা কমবেশি সকলেই জানি। ফলে এই সময় ওই তীব্র মাত্রার ওষুধ সেবন করলে গর্ভের শিশুর ওপর বিশাল প্রভাব পড়ে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা। এমনকি রোগের কোন ওষুধ খেতেও বারণ করছেন তারা।

অন্তঃসত্ত্বাকালীন পরিস্থিতিতে অনেক মহিলার শরীরে ডায়াবেটিস বা থাইরয়েড জাতীয় রোগের প্রকোপ দেখা যায়। তাহলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী ওষুধ তো খেতেই হবে। মহিলার অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায় অবশ্যই তাঁদের সুস্থ-স্বাভাবিক খাদ্য গ্রহণ করা উচিত। এইসময় কীটনাশকযুক্ত শাক-সবজি ও ফল না খাওয়াই শরীরের পক্ষে ভালো।

এই সময় খুব সাবধানে চলাফেরা করার পরামর্শ দেওয়া হয়। আবার অনেককে শারীরিক জটিলতার কারণে কমপ্লিট বেডরেস্ট থাকতেও বলেন ডাক্তাররা। কারণ এই সময় শরীরে যে কোনো ধরনের আঘাত শিশুর লিঙ্গে ব্যাপক প্রভাব ফেলতে পারে। আর যদি কোনোভাবে আঘাত লেগে যায় তো তৎক্ষণাৎ চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া আবশ্যক।

যদি এইসব কিছু না হওয়া সত্বেও কোনো মহিলা নপুংসক সন্তানের জন্ম দেন তাহলে তা জেনেটিক ডিসঅর্ডার এর কারণে ঘটেছে বলেই ধরে নেওয়া হয়। কারণ সন্তান নপুংসক হওয়ার জন্য ওপরের কারণগুলোই যথেষ্ট।