সব খবর সরাসরি পড়তে আমাদের WhatsApp  Telegram  Facebook Group যুক্ত হতে ক্লিক করুন

উ’দ্ধা’র হ’ও’য়া এ’ত প’রি’মা’ণ টা’কা কো’থা’য় যা’চ্ছে? জে’নে নে’ও’য়া যা’ক

উদ্ধার হওয়া এত পরিমাণ টাকা কোথায় যাচ্ছে? জেনে নেওয়া যাক

কয়েক মাস ধরে আমরা দেখছি কোটি কোটি টাকা উদ্ধার হতে। অর্পিতা থেকে আমির সকলের ফ্ল্যাটেই পাওয়া গিয়েছে কোটি কোটি টাকা ও সোনার গয়না। কিন্তু ইডি এই এত টাকা কি করছেন বা কোথায় জমা দিচ্ছেন আমরা অনেকেই তা জানি না।
তাই আসুন জেনে নেওয়া যাক কোথায় যাচ্ছে এত টাকা।

আদালতের নিয়ম অনুযায়ী বলা হচ্ছে, ইডি মারফত উদ্ধার হওয়া এত পরিমাণে সকল টাকা বা গয়না সব কিছুরই একটি সিজার লিস্ট বানানো হয়। তারপর কোন নোটে কত টাকা, কতগুলি বান্ডিল, তা নথিভুক্ত হয়। পাশাপাশি এও দেখা হয় নোটে কোনও চিহ্ন ছিল কিনা। যদি চিন্হ নাও থাকে তাও নথিভুক্ত করতে হয় আলাদাভাবে। এরপর ব্যাংকে কারেন্ট একাউন্ট খোলা হয়।

তাতে উদ্ধার হওয়া টাকা সমস্ত জমা রাখা হয়। এই কারেন্ট একাউন্ট খোলা হয় এসপি পদমর্যাদা সম্পন্ন পুলিশ অফিসারের নাম দিয়ে। আর যদি মোড়া বা খামবন্দি অবস্থায় টাকা পাওয়া যায় তাহলে মালখানায় রাখা হয় সেই টাকা। এরপর কত টাকা কী অবস্থায় পাওয়া গিয়েছে তা আদালতকে জানাতে হয়।বিচার শেষ না হওয়া পর্যন্ত প্রমাণ হিসেবে অন্যান্য নথির সঙ্গে মালখানায় রাখা হয় খামবন্দি টাকা। আর যতদিন কেস চলে ততদিন ব্যাংকে থাকে ওই টাকা। সেই টাকা বাজারে খাটায় ব্যাংক।

তবে যত কিছু নথি পাওয়া যায় সেগুলো ইডির দায়িত্বেই থাকে। আদালতের তরফ থেকে এমন নিয়মও রয়েছে। প্রমাণ সমেত সব কিছু সঠিক সময় অর্থাৎ ১৮০ দিনের মধ্যে কোর্টে প্রমাণ করতে হয়। সেই সব টাকা অবৈধ প্রমাণ হলে সরকারি কোষাগারে জমা পড়ে যায়। কিন্তু ইডি মারফত উদ্ধার হওয়া সব টাকা ও সম্পত্তি যদি অবৈধ প্রমাণ না হয় তাহলে সুদ সমেত ফিরত দিতে হয় সেই অভিযুক্ত ব্যাক্তিকে।

বেশ কয়েক বছরের তথ্য মারফত জানা যাচ্ছে যে, গত ৪ বছরে অভিযান চালিয়ে ৬৭ হাজার কোটি টাকা বাজেয়াপ্ত করেছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। সবথেকে বেশি টাকা উদ্ধার হয়েছে ২০১৯-২০ সালে। সাথে গ্রেফতার করা হয়েছে ও প্রায় ২৬০ জন অভিযুক্তকে। আর এই অর্থবর্ষে উদ্ধার হয়েছে প্রায় ২৮ হাজার ৮১৫ কোটি টাকা। কিছু বাণিজ্যিক সম্পত্তিও ইডি তাদের তদন্তের স্বার্থে সাময়িকভাবে অ্যাটাচ করতে পারে বলে জানা যাচ্ছে।