সব খবর সরাসরি পড়তে আমাদের WhatsApp  Telegram  Facebook Group যুক্ত হতে ক্লিক করুন

২০২৩ সালে ক’বে ক’বে স্কুল ছুটি? দেখে নিন পু’রো তা’লি’কা

আর কিছুদিনের অপেক্ষা এরপরেই এই বছর টা শেষ হয়ে নতুন বছরে পদার্পণ করবো আমরা সকলে। নতুন বছর নিয়ে ইতিমধ্যেই কত শত প্ল্যানিং শুরু হয়ে গিয়েছে। তবে প্রতিটা ছোটো ছোটো ছাত্র ছাত্রীদের কিন্তু একটাই চিন্তা আগামী বছর তাদের কত দিন ছুটি থাকতে চলেছে তাঁদের স্কুলে। আর তাই মধ্যশিক্ষা পর্ষদ থেকে আগামী বছরের একটি ছুটির তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে।

সেখানে আগামী বছরের কোনদিন বা কতদিন ছুটি বেড়েছে বা কমেছে সবই জানানো হয়েছে। যেমন, সামনের বছর থেকে সরস্বতী পূজার ছুটি দুদিন করা হয়েছে। জানা যাচ্ছে পর্ষদের তরফে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ‘এই ছুটির তালিকাটি (২০২৩ শিক্ষাবর্ষ) একটি নমুনা তালিকা হিসেবে দেওয়া হল। তালিকায় মোট ৬৫ টি ছুটির উল্লেখ করা হয়েছে।

রাজ্যের বিভিন্ন জেলার বিশেষ বিশেষ এলাকায় অবস্থিত বিদ্যালয়গুলির ভৌগোলিক বৈশিষ্ট্য, আঞ্চলিক উৎসব/প্রথার বিভিন্নতা, প্রাকৃতিক দুর্যোগজনিত ঘটনা অনুযায়ী ছুটির দিনগুলি পরিবর্তিত হতে পারে। যা বিদ্যালয়ের পরিচালন সমিতি বা প্রশাসক কর্তৃক অনুমোদিত হতে হবে। কিন্তু বছরে মোট ছুটির সংখ্যা কোনওভাবেই ৬৫ দিনের বেশি হবে না।’

আরো খবর: দা’ম্প’ত্য কলহ-র জে’রে কেরিয়ার ব’র্বা’দ! কোথায় আছেন এখন তাব্বুর দিদি ফারা নাজ?

আসুন দেখে নেওয়া যাক কোন কোন দিন ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে।

১ জানুয়ারি: ইংরেজি নববর্ষ (রবিবার)।

১২ জানুয়ারি: স্বামী বিবেকানন্দ জন্মজয়ন্তী (বৃহস্পতিবার)।

২৩ জানুয়ারি: নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর জন্মজয়ন্তী (সোমবার, স্কুলে পালন করতে হবে)।

২৫ জানুয়ারি: সরস্বতী পুজোর আগেরদিন (বুধবার)।

২৬ জানুয়ারি: প্রজাতন্ত্র দিবস এবং সরস্বতী পুজো (বৃহস্পতিবার, স্কুলে পালন করতে হবে)।

১৪ ফেব্রুয়ারি: পঞ্চানন বর্মার জন্মদিবস (মঙ্গলবার)।

১৮ ফেব্রুয়ারি: শিবরাত্রি (শনিবার)।

৭ মার্চ: দোলযাত্রা (মঙ্গলবার)।

৮ মার্চ: হোলি (দোলযাত্রার পরের দিন) এবং সবে-ই-বরাত (বুধবার)।

১৯ মার্চ: শ্রী শ্রী হরিচাঁদ ঠাকুরের জন্মজয়ন্তী (রবিবার)।

৪ এপ্রিল: মহাবীর জয়ন্তী (মঙ্গলবার)।

৭ এপ্রিল: গুড ফ্রাইডে (শুক্রবার)।

১৪ এপ্রিল: বি আর আম্বেদকরের জন্মজয়ন্তী (শুক্রবার)।

১৫ এপ্রিল: বাংলা নববর্ষ (শনিবার)।

২১ এপ্রিল: ইদ-উল-ফিতরের আগেরদিন (শুক্রবার)।

আরো খবর: মা মালাইকার জায়গা আ’স্তে আ’স্তে নিয়ে নি’চ্ছে মাসি অমৃতা! বি’স্ফো’র’ক ছেলে আরহান

২২ এপ্রিল: ইদ-উল-ফিতর (শনিবার)।

১ মে: মে দিবস (সোমবার)।

৫ মে: বুদ্ধপূর্ণিমা এবং পণ্ডিত রঘুনাথ মুর্মুর জন্মজয়ন্তী (শুক্রবার)।

৯ মে: রবীন্দ্র জয়ন্তী (মঙ্গলবার)।

২৪ মে থেকে ৪ জুন: রবিবার ছুটি হিসেবে বিবেচনা করা হবে না। মোট ১০ দিন ধার্য করা হয়েছে।

২০ জুন: রথযাত্রা (মঙ্গলবার)।

২৯ জুন: বকরি ইদ (বৃহস্পতিবার)।

২৯ জুলাই: মহরম (শনিবার)।

১৫ অগস্ট: স্বাধীনতা দিবস (মঙ্গলবার, স্কুলে পালন করতে হবে)।

৩০ অগস্ট: রাখি পূর্ণিমা (বুধবার)। ৬ সেপ্টেম্বর: জন্মাষ্টমী (বুধবার)।

২৯ সেপ্টেম্বর: ফতোয়া-দোয়াজ-দাহাম (বৃহস্পতিবার)।

২ অক্টোবর: গান্ধী জয়ন্তী (সোমবার)।

১৪ অক্টোবর থেকে ১৬ নভেম্বর (দুর্গাপুজোর চতুর্থী থেকে ভাইফোঁটার পরদিন পর্যন্ত): পুজোর জন্য ২৬ দিন ছুটি থাকবে (রবিবার বাদে অর্থাৎরবিবার ছুটির মধ্যে যোগ করা হবে না)।

১৫ নভেম্বর: বিরসা মুন্ডার জন্মদিবস (বুধবার) (পুজোর ছুটির মধ্যে অন্তর্গত)।

১৯ নভেম্বর: ছটপুজো (রবিবার)।

২০ নভেম্বর: ছটপুজোর জন্য বাড়তি ছুটি (সোমবার)।

২৭ নভেম্বর: গুরু নানকের জন্মজয়ন্তী (সোমবার)।

২৫ ডিসেম্বর: বড়দিন (সোমবার)।

এছাড়াও বেশ কিছু ছুটির কথা বলা হয়েছে। তাও বেশ কিছু এলাকা ভিত্তিক ভাবে। যেমন কবি ভানুভক্তের জন্মদিবস উপলক্ষ্যে ১৩ জুলাই (বৃহস্পতিবার) শুধুমাত্র দার্জিলিং এবং কালিম্পং জেলার স্কুল ছুটি থাকবে।

সম্প্রদায়গত কয়েকটি ছুটিও দেওয়া হয়েছে। গুরু রবিদাসের জন্মজয়ন্তী উপলক্ষ্যে ৫ ফেব্রুয়ারি, ইস্টান স্যাটারডে’র জন্য ৮ এপ্রিল এবং আদিবাসী সম্প্রদায়ের জন্য হুল দিবল উপলক্ষ্যে ৩০ জুন ছুটি থাকবে বলে জানান হয়েছে।