চাকরি পাওয়ার কথা ছিল ১৯৯৬ সালে। তবে আইনি জটিলতায় দীর্ঘ প্রায় ২৫ বছর যাবত আদালতের চক্কর কাটতে কাটতেই পেরিয়ে গিয়েছে বলরাম বসন্ত, নিত্যানন্দ দোলুই, বিমল হারা, অশোককুমার গড়াইদের। অবশেষে তারা চাকরি পেলেন। ততদিনে অবশ্য তাদের বয়স ৫০ পেরিয়েছে। তবে আজ তারা প্রাথমিক স্কুলের শিক্ষক।
এমনই এক ঘটনার সাক্ষী থাকলো পশ্চিম মেদিনীপুর। পশ্চিম মেদিনীপুরের মোট ১১ জন চাকরিপ্রার্থীর হাতে নিয়োগপত্র তুলে দিলেন চেয়ারম্যান। করালেন মিষ্টিমুখ। পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা প্রাথমিক বিদ্যালয় সংসদের নবনিযুক্ত চেয়ারম্যান কৃষ্ণেন্দু বিষইয়ের হস্তক্ষেপে তারা চাকরি পেলেন।
এদের মধ্যে কারোর বয়স ৫২ বছর, কারোর বয়স ৫০, কেউ আবার ৫৬ বছর। বিদ্যালয় পরিদর্শক তরুণ সরকারের উপস্থিতিতে চেয়ারম্যানের হাত থেকে নিয়োগপত্র নিলেন তারা। ১৯৯৬ সালে প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে প্যানেলে সংরক্ষিত (SC/ST) তালিকায় নাম ছিল অশোক কুমার বেরা, অশোক কুমার গড়াই, মেনকা মুন্ডা, বলরাম বসন্ত, নিত্যানন্দ দোলই, বিমল হারাসহ মোট ১১ জনের।
তবে তাদের নিয়োগ না করে তৎকালীন ব্রাহ্মণ সরকারি নিয়ন্ত্রনহীন জেলা প্রাথমিক বিদ্যালয় সংসদ জেনারেল তালিকা থেকে অতিরিক্ত ১১ জনকে নিয়োগপত্র দিয়েছিল। যার ফলে সংরক্ষণের আওতাভুক্ত চাকরিপ্রার্থীরা বঞ্চিত হয়েছিলেন। শেষমেষ নিয়োগপত্র পেয়ে স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেললেন তারা।