সব খবর সরাসরি পড়তে আমাদের WhatsApp  Telegram  Facebook Group যুক্ত হতে ক্লিক করুন

অর্পিতার বাড়ি থেকে উ’দ্ধা’র হওয়া কো’টি কো’টি টাকার কি হবে? কোথায় কিভাবে খরচ হ’বে?

পার্থ চট্টোপাধ্যায় ঘনিষ্ঠ অর্পিতা চট্টোপাধ্যায়ের বাড়ি থেকে উদ্ধার হয়েছে কোটি কোটি টাকা। ইডি দুদিনে অর্পিতার বাড়ি থেকে ‌যা টাকা উদ্ধার করেছে তা গুনতে হাঁপিয়ে উঠছেন ব্যাঙ্কের কর্মিরা। অত্যাধুনিক মেশিন দিয়েও টাকা গুনতে কালঘাম ছুটছে তাদের। আর এই টাকা উদ্ধার এপিসোডে হাঁ করে দর্শকের ভূমিকায় আম জনতা।

একসাথে এতো বেআইনি টাকা উদ্ধারের ঘটনা এ রাজ্যে আগে দেখেনি কেউ। ।আর মিডিয়ার দৌলতে এই ২০০০ আর ৫০০ টাকার নোটের বান্ডিল দেখে অনেকেই ভিড়মি খাচ্ছেন। এখন প্রত্যেকেরই প্রশ্ন একটাই, কী হবে এই টাকার?

ইডি বা এনফোর্সমেন্ট ডাইরেক্টরেটের কাজ হল বেআইনি অর্থের তথ্য নেওয়া। দেশের ‌যে PML ACT রয়েছে ‌যা হল প্রিভেনশন অফ মানি লন্ড্রারিং অ্যাক্ট।এই আইন অনু‌যায়ী কাজ করে এই দফতর। এই বেআইনি নগদ ‌যা উদ্ধার করা হচ্ছে তা সবটাই ‌যাবে সরকারের কোষাগারে।

আরো পড়ুন: তুমি কি আমাকে চে’নো? খুদেকে প্রশ্ন মোদির, উত্তরে যা বললো অহনা

মূল ব্যাঙ্ক রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়াতে জমা থাকবে এই বাজেয়াপ্ত টাকা। বিশিষ্ট আইনজীবী সুব্রত ঘোষ বলেন, এই আইন অনু‌যায়ী বাজেয়াপ্ত টাকার মালিক সরকার। এই টাকা বাজারের টাকা। সরকারের টাকা। তাকে এক জায়গায় বেআইনিভাবে মজুত করা ‌যায় না।

অভি‌যুক্ত অর্পিতা ‌যদি এই টাকার উৎস দেখাতে পারেন তবে এ টাকা তার। কিন্তু ‌যদি তিনি না দেখাতে পারেন তাহলে টাকা ‌যাবে সরকারি কোষাগারে। এই ধরনের অপরাধের শাস্তিও হয় মারাত্মক। সর্বোচ্চ শাস্তি ‌যাবজ্জীবন। তাছাড়া এই মামলায় জামিনও হয় না।

গতকালই দেশের সর্বোচ্চ আদালত জানিয়ে দিয়েছে এই অপরাধ জামিন ‌যোগ্য নয়। এ বিষয়ে অর্থনীতির অধ্যাপক বনকুমার ঘোষের বক্তব্য, এই প্রায় ৫০ কোটি টাকা,‌যে টাকা বাজারের টাকা তা এক জায়গায় জমা হয়ে পাথরের মতো রইল।

ফলে বাজার অর্থনীতির একটা অংশের টাকা কমে গেলে তার প্রভাব রাজ্য তথা দেশের অর্থনীতিতে পড়তে বাধ্য। এতে ক্ষতি হবে চাকরি, শিক্ষা ও শিল্পের।