কলকাতা মেডিকেল কলেজে এক বিচিত্র ঘটনা ঘটলো। যে সমস্ত ছাত্র-ছাত্রীরা পাশ করেছিল তারা রিভিউতে হয়ে গেল ফেল। এমনটা কেন ঘটল সে ব্যাপারে জানার জন্য স্বাস্থ্য বিশ্ববিদ্যালয়ে গেলেন মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ ও উপাধ্যক্ষ ডিনসহ চিকিৎসকেরা। এমবিবিএসে ৭৫ শতাংশ নম্বর পেলে তা অনার্স হিসাবে মনে করা হয়।
এমবিবিএস এর প্রথম পর্যায়ে পরীক্ষায় যারা ৭০ শতাংশ পেয়েছিলেন, সেই সমস্ত ছাত্র-ছাত্রীরা রিভিউয়ের জন্য আবেদন করে যার ফলে দেখা যায় রিভিউ করে তাদের নম্বর ৭০% থেকে ৩০ শতাংশে এসে পৌঁছায়। এই পরীক্ষায় ৫০ শতাংশের কম হলে সেক্ষেত্রে ফেল ধরা হয় রিভিউ করার পর এরকম নাম্বার দেখে হতভম্ব হয়ে যান পড়ুয়ারা।
দ্বিতীয়বার রিভিউ এর কথা জানান তাতে ফের কমে যায় নাম্বার। ৩০ শতাংশ থেকে নাম্বার কমে দাঁড়ায় ২৮ শতাংশ। কেন এরকম ঘটনা ঘটছে কেন বারবার নম্বর কমে যাচ্ছে সে ব্যাপারে এখনো মেডিকেল কলেজের আধিকারিকরা কিছুই জানেন না।
এরপরই বুধবার স্বাস্থ্য বিশ্ববিদ্যালয় ছোটেন উপাধাক্ষ এবং অধ্যক্ষরা। এই কলেজের মোট ২৫০ জন ছাত্র ছাত্রী পরীক্ষা দিয়েছে। মোট তিনটি বিষয়ের ওপর পরীক্ষা হয়। চারজন বাকি বিষয়গুলিতে ৭৫% নম্বর পেলেও বায়োকেমিস্ট্রিতে তারা ৭৫ এর কম পেয়েছেন।
আরো খবর: চিকিৎসকদের আ’কা’ল হাসপাতালে, ডিপ্লোমা কো’র্স চালুর পরামর্শ মমতার
৭০ এর ওপর নম্বর ছিল অর্থাৎ চার থেকে পাঁচ নম্বর পেলেই অনার্স পেতে পারতেন। সেই কারণে রিভিউ করতে দিয়েছেন আর তাতেই হয় বিপত্তি। এই ঘটনা চারজনের সঙ্গে ঘটেছে প্রত্যেকেই মেধাবী ছাত্র বলেই পরিচিত।
সূত্রের খবর অনুযায়ী জানা গেছে, নম্বর এরকমভাবে কমার পিছনে রয়েছে অন্য কারণ। মূলত স্বাস্থ্য বিশ্ববিদ্যালয় এই পরীক্ষা নেয়, পরীক্ষার রিভিউ হয় সেখানেই।
এরকম ধরনের ঘটনা মেডিকেল কলেজ কর্তৃপক্ষকে যথেষ্ট অস্বস্তিতে ফেলেছে, তবে এ ব্যাপারে প্রশ্ন করা হলেও মুখ খোলেননি অধ্যক্ষ ইন্দ্রনীল বিশ্বাস। মূলত এইরকম ঘটনার পর পড়ুয়াদের একাংশের ভবিষ্যৎ নিয়ে যথেষ্ট প্রশ্ন উঠছে।