সব খবর সরাসরি পড়তে আমাদের WhatsApp  Telegram  Facebook Group যুক্ত হতে ক্লিক করুন

প্রতি সপ্তাহেই কি উ’পো’স করেন? এই নিয়মগুলো কি মে’নে চলেন?

যে কোনো ধর্মের উৎসব মানেই দেবদেবীর পূজা। আর সনাতন ধর্মের অন্যতম একটি বৈশিষ্ট্য হল উৎসব উপলক্ষে উপবাস রাখা। বলা ভালো, হিন্দুধর্মের অবিচ্ছেদ্য একটি অঙ্গ হল উপবাস। প্রচলিত বিশ্বাস অনুযায়ী ঈশ্বরের বিশেষ আশীর্বাদ লাভের জন্যই হিন্দু ধর্মাবলম্বী মানুষেরা উপোস রাখেন।

তবে উপোস রাখারও বিশেষ কিছু নিয়ম রয়েছে, যা ঠিকভাবে পালন করলে সত্যই শুভ ফল পাওয়া যায়। সনাতন ধর্মে বিশ্বাস আছে, উপোস করলে মানুষের মন, শরীর ও আত্মা পবিত্র হয়, সকল প্রকার পাপের স্খলন ঘটে, এমনকি দুঃখ কষ্ট থেকেও রেহাই মেলে। সেই সঙ্গে ভগবানের প্রতি শ্রদ্ধা, ভক্তি ইত্যাদি অনুভূতির সাক্ষী হওয়া যায়।

ধর্মীয় গুরুত্বের পাশাপাশি উপোস রাখার বেশ কিছু বৈজ্ঞানিক গুরুত্বও আছে। সেই প্রসঙ্গে বলতে গেলে উপোসের কারণে মানুষের স্বাস্থ্য ভালো থাকে। উপবাসের সারাদিন যেহেতু জল-ফল ইত্যাদি খেয়েই কাটে, তাতে ব্যক্তির পরিপাকতন্ত্র সুস্থ থাকে এবং কোলেস্টেরলের পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে থাকে। চলুন তবে দেরী না করে দেখে নেওয়া যাক, হিন্দু ধর্মে উপোস রাখার কী-কী নিয়ম রয়েছে।

আরো খবর: যমজ সন্তান নি’য়ে মুম্বইয়ে ফিরলেন মুকেশ কন্যা ইশা আম্বানি, নাতি-নাতনির ক’ল্যা’ণে ৩০০ কেজি সোনা দা’ন দাদুর

১) যে ব্যক্তি উপবাসের ব্রত গ্রহণ করেন অর্থাৎ যাঁরা উপোস রাখেন তাঁদের সকালে ঘুম থেকে উঠে প্রাত্যহিক কাজকর্ম করার সময় স্নান করে পরিষ্কার কাপড় পরিধান করতে হয়।

২) যেই নির্দিষ্ট দিনে উপবাসের ব্রত পালন করা হয়, সেই দিন সংশ্লিষ্ট দেব-দেবীর পূজা অবশ্যই করা উচিত। উপবাসের দিন সারাদিন ভগবানের মন্ত্র জপ করতে হবে।

৩) উপবাসের দিন দিনের আলোয় ঘুমানো ঠিক নয়।

৪) উপোস রাখা অন্যান্য সব অবস্থায় খাবার ত্যাগ করে শুধু জল ও ফল খেলে তবেই সেটি পূর্ণ উপবাস বলে গ্রাহ্য হয়।

৫) উপবাস থাকা অবস্থায় একজন ব্যক্তির সর্বদা সত্য কথা বলা উচিত। কাউকে অযথা বিরক্ত করা একেবারেই উচিত নয়। এমনকি মিথ্যা কথা বলা এবং চুরি ইত্যাদি করাও উচিত নয়।

৬) উপবাসের শুভ দিনে, গরীব এবং অসহায় মানুষদের উদ্দেশ্যে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিন।