বলিউডে রেখা নামটার একটা আলাদাই মাধুর্য আছে। সকলে তাঁকে খুব সন্মান করে চলেন। জুনিয়র আর্টিস্টরা তাঁকে সমীহ করে চলেন। কিন্তু এই রেখার জীবন একটা গুপ্ত ইতিহাসের মতন। তার সবটা কেউ আজও জানেন না। তবে তাঁর জীবন নিয়ে অনেক গল্প আছে বলিউডের মধ্যে। যেমন সকলেই আজও মনে করেন অমিতাভ ও রেখার একটা অন্য রকমেরই ভালোবাসা রয়েছে।
অনেকে বলেন এই ভালোবাসা একতরফা শুধুই রেখার দিক থেকেই আবার অনেকেই বলেন অমিতাভ লুকিয়ে বিয়ে করেছেন তাঁকে তাই আজও সিঁদুর পরে থাকেন তিনি। তবে বিয়ে রেখাও করেছিল দু দুটো বিয়ে করার পরেও একটা বিয়েতেও খুশি ছিলেন না তারা দুটোই ভেঙে যায়। তাঁর প্রথম স্বামী মুকেশ আগরওয়াল তো বিয়ের এক বছরের মাথাতেই সুইসাইড করেন। তাও আবার রেখার ওড়না ফাঁস লাগিয়েই।
এই নিয়ে নানা রকম চর্চা শুরু হয়। কেউ দাবি করেন মুকেশ তার ব্যবসাতে লোকসানের মুখোমুখি হন এবং সেই কারণে এই চরম পথ বেছে নেন। তবে মুকেশের পরিবার অবশ্য দাবি করেছিলেন রেখাই তার স্বামীর মৃত্যুর কারণ। রেখার সঙ্গে বৈবাহিক জীবনে সুখে ছিলেন না মুকেশ।
আরো খবর: জীবনের পুকুরে শুধুই গুপ্তধন! দাদুও ছু’ড়ে ফেলেছিলেন সোনাদানা! জানুন ইতিহাস
তবে এই নিয়ে চর্চা বাড়ে মুকেশের লেখা সুইসাইড নোট পাওয়ার পর। সেখানে লেখা ছিল রেখা যেন তার সম্পত্তির ভাগ না পান। মুকেশ লিখে গিয়েছিলেন তিনি চান না রেখা তার সম্পত্তি থেকে কিছু পান। তার স্ত্রী সক্ষম এবং নিজে উপার্জন করতে পারেন। তিনি নিজেই নিজের ভরণ পোষণ করতে পারেন।
স্বামীর মৃত্যুর পর রেখার বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ ওঠে। মুকেশের পরিবার স্পষ্ট জানিয়ে দেয়, রেখাও তাদের কাছ থেকে কখনও কিছু দাবি করেননি। রেখা এরপর অভিনেতা বিনোদ মেহেরাকে বিয়ে করেন।
কিন্তু এই বিয়েটাও বেশিদিন টেঁকেনি। কিন্তু রেখার সিঁথিতে আজও সবসময় সিঁদুর থাকে। তবে সব কিছুর পরেও রেখা তো রেখাই। তার এভারগ্রীন সৌন্দর্যের দিওয়ানা আজও অনেকেই। তার জনপ্রিয়তা কোনো অংশেই কম যায়নি এই চর্চা গুলোর কারণে। তিনি আজও নিজের জায়গা একই ভাবে বজায় রেখেছেন।