Home দেশ পায়ের ছাপ দেখেই মা’প’তে পারতেন ওজন! সেনাবাহিনীকে সাহায্য করে বি’র’ল স’ন্মা’ন পান...

সব খবর সরাসরি পড়তে আমাদের WhatsApp  Telegram  Facebook Group যুক্ত হতে ক্লিক করুন

পায়ের ছাপ দেখেই মা’প’তে পারতেন ওজন! সেনাবাহিনীকে সাহায্য করে বি’র’ল স’ন্মা’ন পান রণছোড়দাস

জীব জন্তু হোক কিংবা মানুষ তার পায়ের ছাপ দেখে কত ওজন সেটা খুব সহজেই বলার ক্ষমতা ছিল রণছোড়দাসের। তার পদবী ছিল রবারী। তিনি তাঁর নামের পিছনে ব্যবহার করতেন পগী, তিনি মনে করতেন যে পগী তার নামের পাশে বেশি মানানসই। পগী কথার অর্থ হচ্ছে পায়ের ছাপ , যা সম্পর্কে যার প্রচুর জ্ঞান আছে। পগী কথাটির অর্থ হল পথপ্রদর্শক।

রণছোড়দাস জন্মগ্রহণ করেছিলেন অধুনা পাকিস্তানে পিঠাপুর গ্রামের একটি রবারী পরিবারে। এই পরিবারের সকলে গবাদি পশু পালন করে নিজেদের সংসার চালাতেন। দেশ ভাগ হয়ে যাওয়ার পর পাক সীমান্ত থেকে এই পরিবারটি চলে আসেন।

রণছোড়দাসের দক্ষতার কথা মাথায় রেখেই ভারতীয় সেনার গাইডের কাজ তাঁকে দেওয়া হয়েছিল। এই কাজটাকে দিয়েছিলেন বনাসস্কণ্ঠা জেলার পুলিশ সুপার বনরাজ সিংহ ঝালা। রণছোড়দাসের দক্ষতার দর্শন পাওয়া গিয়েছিল হাজার ১৯৬৫ সালে একাত্তরে পাক-ভারত যুদ্ধে।

আরো পড়ুন: দাদাগিরিতে এসে যশের উপর ঢ’লে পড়ছেন নুসরত, সৌরভের সামনে এমন কা’ন্ড করায় ক’টা’ক্ষে’র শি’কা’র

সেইসময় মরুভূমিতে পায়ের ছাপ দেখে বলে দিয়েছিলেন যে ওই পায়ের ছাপ যার তার ওজন এবং উচ্চতা কত। এই ছাপটা মেয়ে নাকি ছেলের সেটাও বলে দিতে পারতেন।

মানেকশ মারা যাওয়ার আগে পর্যন্ত যখন তামিলনাড়ুর ওয়েলিংটন হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন সেই সময় তিনি পগী পগী করতেন। সেই সময় তার কাছে জানতে চাওয়া হয়েছিল এই পগী কে?

এরপরে আসলে পগী এবং পগীর কি ক্ষমতা সেটা সম্পর্কে জানতে পারেন চিকিৎসকরা। ১৯৬৫ তে ভারত পাকিস্তান যুদ্ধের সময় যখন গুজরাটের এক এলাকা দখল করে পাকসেনারা সেই সময় যুদ্ধে প্রায় ১০০ জন ভারতীয় সেনা মারা গিয়েছিলেন।

এরপরে ওই এলাকাতে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল ১০,০০০ জন ভারতীয় সেনাকে, তাদের লক্ষ্য ছিল যে এলাকাটি আবার পুনরুদ্ধার করবে। মরুভূমি দিয়ে যাওয়ার জন্য একজন পথপ্রদর্শকের দরকার ছিল এবং যার কাজ করেছিল পগী।

আরো পড়ুন: কোনো চি’ন্তা ছা’ড়া’ই ব্যবসা করুন বাংলায়, বিশ্ববঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলনে অতিথিদের বললেন মমতা

ভারতীয় ভারতীয় সেনার পক্ষ থেকে পগীকে এই কাজ করার জন্য বলা হয়েছিল। ১০,০০০ ভারতীয় সেনাকে পথ নির্দেশ করে নিয়ে গিয়েছিলেন পগী।

শুধুমাত্র পায়ের ছাপ দেখেই সমস্ত কিছু বলে দিতে পারতো এই তথ্যের জন্য মনে করা হয় যে সেই যুদ্ধটি ভারতীয় সেনাবাহিনীর জিততে পেরেছিল। ১১২ বছর বয়সে পগী মারা যান।