সব খবর সরাসরি পড়তে আমাদের WhatsApp  Telegram  Facebook Group যুক্ত হতে ক্লিক করুন

জল নামছেই না এ’লা’কা থেকে! ড্রেনে না’মা’লো হ’লো ডুবুরি, এরপর যা উ’দ্ধা’র হলো

কদিন ধরে তো আর রাজ্যে কম বৃষ্টি হলো না। এর কারণে রাজ্যের বেশিরভাগ অঞ্চল জলমগ্ন হয়েছে। চারিদিকে তৈরী হয়েছে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ। শহরে জল জমার জন্য প্রধানত দায়ী প্লাস্টিক, যার জন্য ড্রেনগুলি পুরোপুরি ব্লক হয়ে যায়। ফলে সামান্য বৃষ্টিতেই রাস্তা জলে টইটম্বুর হয়ে ওঠে । কিন্তু যদি দেখেন প্লাস্টিকের বদলে ড্রেন থেকে উঠে আসছে একটার পর একটা বালির বস্তা, ইঁট, লেপ, তোষক ইত্যাদি, তখন কি হবে?? কি অবাক হচ্ছেন নিশ্চয়ই! কলকাতা পুরসভা এলাকাতেই ঘটেছে এমন অদ্ভুত ঘটনা। ড্রেনে ডুবুরি নামিয়ে রবিবার উদ্ধার করা হয়েছে এই সমস্ত বস্তু।

কয়েক ঘন্টা টানা বৃষ্টি হলেই কলকাতা পুরসভার বিস্তীর্ণ এলাকা চলে যায় জলের তলায়। কোথাও কোথাও জল তাড়াতাড়ি নেমে যায় ঠিকই তবে বেশিরভাগ জায়গার ছবিটা হয় একই। সেখানকার নাগরিকদের ভোগ করতে হয় তীব্র জল যন্ত্রণা। এক-দুদিন নয়, বেশ কয়েক দিন। সম্প্রতি পুরসভার বোরো ১৫ এর বিস্তীর্ণ এলাকায় একটু বৃষ্টিতে জল জমে যাচ্ছিল , কিন্তু পুরসভার মতে, ওসব এলাকার অবস্থা এমন হওয়ার কথা নয়। নিকাশি ব্যবস্থা তো ভালোই রয়েছে। অবশ্য ভারী বৃষ্টিতে জল জমলেও সেই জল তাড়াতাড়ি নেমে যাওয়ার কথা। এবারের বর্ষার চিত্রটা ছিল সম্পূর্ণ আলাদা। একই সঙ্গে কলকাতা পুরসভা লাগোয়া মহেশতলা পুরসভাতেও জল জমে মানুষের ভোগান্তির সীমা ছিল না।

জল জমে থাকা এলাকার নিকাশি ব্যবস্থা নিয়ে অনুসন্ধান করতে গিয়ে উঠে আসে এক সাংঘাতিক তথ্য । কলকাতা পুরসভার প্রশাসক মন্ডলীর সদস্য তারক সিং বলেন, ‘আমরা লক্ষ্য করি কিছু নির্দিষ্ট এলাকায় জল নামছে না। কারণটা ছিল সত্যিই অবাক করে দেওয়ার মতো।’ রবিবার কলকাতা পুরসভার 80 নম্বর ওয়ার্ড এবং মহেশতলা পুরসভার এক নম্বর ওয়ার্ড সংলগ্ন রামনগরের টি জি রোডের অপর একাধিক জায়গায় ম্যানহোল খুলে ডুবুরি নামানো হয়। সেখান একটি ম্যানহোল থেকেই উদ্ধার হয়েছে ১৬টি বালির বস্তা। অন্য আরেকটি থেকে উদ্ধার হয়েছে লেপ, তোষক, বালিশ। আর সবগুলো থেকেই বেরিয়েছে অজস্র ইঁট। পুরসভার ডুবরির বক্তব্য, ‘ভেতরে দু’ফুট মত পাইপের মধ্যে জিনিসপত্র জমা হয়েছিল।’

এইসব দেখে পুরসভার কর্তারা এই সিদ্ধান্ত ে উপনীত হয়েছেন যে এই বিষয়ে চেয়ারম্যানের কাছে একটি রিপোর্ট জমা পড়বে এবং একটি এনকোয়ারি কমিটি গঠন করা হবে। যাদের এরূপ কীর্তি তাদের ধরতে পারলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।