সব খবর সরাসরি পড়তে আমাদের WhatsApp  Telegram  Facebook Group যুক্ত হতে ক্লিক করুন

ফুচকার নাম শুনলেই জি’ভে জ’ল আ’সে! জেনে নিন কে কাকে প্রথম খাইয়েছিলেন

ফুচকা এমন একটি খাবার যা খেতে মানুষ কখনও বোর হয় না। ফুচকা খাওয়ার নির্দিষ্ট কোনো টাইম হয় না বললেও চলে। ভারতে ফুচকা খেতে পছন্দ করেন না এমন মানুষ হাতে গোনা কয়েকজন।

উত্তর ভারত থেকে দক্ষিণ ভারত সব জায়গাতেই – হয় পানিপুরি, নয় গোলগাপ্পা অথবা ফুচকা কোথাও বা গুপচুপ ইত্যাদি নানা নামে বিখ্যাত এই চটপটি স্ন্যাক্স। আর উৎসবের দিনে এই ফুচকা স্টলকে ঘিরে সব জায়গাতে ভক্তদের ভিড় থাকে চোখে পড়ার মতো। ভিন্ন ভিন্ন স্বাদেও এর জনপ্রিয়তাকে টেক্কা দেওয়ার মতো দেশি স্ন্যাক্স খুঁজে পাওয়া ভার।

ভারতে ফুচকা বা গোলগাপ্পা তৈরি হয় ময়দা, সুজি, আটা ইত্যাদি বিভিন্ন উপাদান দিয়ে। সেগুলি থেকে ছোট ছোট পুরি তৈরি করে এর মধ্যে মশলা ঠাসা হয়। সবশেষে এটির মধ্যে টক জল ভর্তি করে খাওয়া হয়।

আরো পড়ুন: কেন দাঁড়িয়ে থা’কা গাড়ির চাকায় কুকুর প্র’স্রা’ব করে? কি উত্তর দে’বে’ন আপনি?

সুস্বাদু এই স্ট্রিট ফুডটি না হয় খাওয়া হল, কিন্তু এই সুস্বাদু রাস্তার খাবারের ইতিহাস কি তা জানা আছে আপনার? তবে বলুনতো দেখি কে প্রথম কাকে খাইয়েছিলেন এই ফুচকা? কি! পারলেন না তো! আজকের প্রতিবেদনে আপনাদের জন্য রইল চটপটি স্ন্যাক্স ফুচকার দুর্দান্ত ইতিহাস।

এই ফুচকার ইতিহাস কোটি বছরের পুরনো। আজ আমরা ফুচকার দুই ধরনের ইতিহাস সম্পর্কে অজানা সব তথ্য জানতে চলেছি।জানলে আশ্চর্য হবেন যে আজ আপনি রাস্তায় দাঁড়িয়ে যে গোলগাপ্পা বা ফুচকাগুলো তাড়িয়ে তাড়িয়ে উপভোগ করে খাচ্ছেন, তার উল্লেখ আছে পুরাণেও।

পৌরাণিক কাহিনী অনুসারে দ্রৌপদী প্রথম ফুচকা খাইয়েছিলে পাণ্ডবদের। কথিত আছে, পাণ্ডবরা যখন নির্বাসনে ছিলেন, তখন বাড়িতে খুব কম খাবার ছিল। এহেমতাবস্থায় পুত্রবধূর ঘর চালানোর সামর্থ্য পরীক্ষা করার জন্য কুন্তী তাকে সামান্য কিছু আনাজ এবং কিছু শাকসবজি দিয়েছিলেন। এতে পাণ্ডবদের পেট ভরানোই ছিল চ্যালেঞ্জ। এমতাবস্থায় দ্রৌপদী সেই সময়েই ফুচকা বানিয়ে পান্ডবদের পেট ভরিয়েছিলেন।

আর এই পুরাণের ব্যাখ্যাকে যদি আপনি অগ্রাহ্য করেন তাহলে রয়েছে আরও একটি তত্ত্ব। ৪০০ বছর আগের ইতিহাস থেকে জানা যায় যে এটি মগধ যুগের সঙ্গে সম্পর্কিত একটি খাবার। এটি ভারতে তিন থেকে চারশ বছর আগে মগধের রাজা তৈরি করেছিলেন। পরে যা ভারতে বিভিন্ন নামে পরিচিত হয়।

স্থান অনুযায়ী এই খাবারের নামের পাশাপাশি স্বাদও পরিবর্তিত হয়। কোথাও টক খাওয়া হয়, আবার কেউ গরম জলে খেয়ে উপভোগ করে কেউ আবার খান মিষ্টি জলের ডুবিয়ে। এছাড়া রয়েছে দই ফুচকা, চাটনি ফুচকা আবার নতুন অভিনব সংযোজন মিরিন্ডা ফুচকাও।