হাঁসখালিতে ১৪ বছরের একটি মেয়েকে ‘ধ’র্ষ’ণ’ করে পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে এবং এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে এবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কাঠগড়ায় তুললেন ওই মৃত ধর্ষিত মেয়েটির পরিবারকে।
তিনি সংবাদমাধ্যমকেও আক্রমণ করেছেন এই ঘটনাটি সবার সামনে তুলে ধরার জন্য। তিনি সোমবার সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে জানান যে,” রাজ্য সরকারকে নানানভাবে সংবাদমাধ্যম বদনাম করার চেষ্টা করছে।
ঘটনাটি অবশ্যই দুঃখজনক, কিন্তু যে অপরাধ করেছে তাকে ইতিমধ্যেই পুলিশ এরেস্ট করেছে। আমি জেনেছি যে ওই মেয়েটির সঙ্গে ওই ছেলেটির একটি ভালোবাসার সম্পর্ক ছিল”।
আরো পড়ুন: গ্রুপ-ডি নি’য়ো’গ নিয়ে রি’পো’র্ট পে’শ আদালতে, পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে নিয়ে ব’ড়ো খবর
মমতা ব্যানার্জি প্রশ্ন করেন গোটা সংবাদমাধ্যমকে,” মেয়েটির ৫ তারিখে মারা গিয়েছিল কিন্তু পুলিশে গোটা বিষয়ে খবর দেওয়া হয় ১০ তারিখে।
যদি ৫ তারিখে ঘটনাটি হয়ে থাকে তাহলে কেন ওই দিনই পুলিশের কাছে এফআইআর দায়ের করেনি কেন ওই মেয়েটির পরিবার? এটা কি আদৌ কোনও ‘ধ’র্ষ’ণ’ হয়েছে নাকি অন্য কোন গল্প আছে পিছনে? হতেও চড় মেরেছে যার জন্যই তার শরীরটা খারাপ হয়ে গিয়েছিল”।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দাবি করে বলেন,” অবশ্যই ওই ছেলেটি এবং মেয়েটির মধ্যে লাভ আফেয়ারস ছিল এবং এই গোটা ব্যাপারে তার বাড়ির, পাড়ার লোকেরা জানতো।
আরো পড়ুন: বাড়ির বাইরে তা’লা ঝু’লি’য়ে দিয়েছে প্রশাসন! মু’ক্তি’র অপেক্ষায় তী’ব্র আর্তনাদ বাসিন্দাদের
এটা উত্তর প্রদেশ নয় যে আমি এই লাভ জিহাদ নিয়ে অসংখ্য প্রোগ্রাম করতে শুরু করব। আমাদের রাজ্য স্বাধীন রাজ্য, তাই যদি কেউ অপরাধ করে তবে সেই অপরাধের বিরুদ্ধে অবশ্যই আমরা অ্যাকশন নেই এবং অ্যাকশন নেওয়া হয়েছে।
অপরাধীকে গ্রেপ্তারও করা হয়েছে। ওই ছেলেটিকে গ্রেপ্তার করার সময় সে কোন দলের সেটা কিন্তু দেখা হয়নি। অভিযুক্ত যুবকের তৃণমূল পঞ্চায়েতের সদস্যের ছেলে এটা উল্লেখ করা হয়েছে গণমাধ্যমে।”
এই বিষয়টাকে ভিওি করে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানান গোটা রাজ্য তৃণমূল তাই এই কাজটা ওই ছেলেটিকে তৃণমূল দল শিখিয়ে দেয়নি। তার বাবা যদি পার্টি করে থাকে তাহলে এই নয় যে তার ছেলে বাইরে কি করছে না করছে সেটা তাকে শিখিয়ে দেওয়া হচ্ছে।
হাঁসখালির যে ‘ধ’র্ষ’ণ’ কাণ্ড ঘটেছে সেটা নিয়ে অবশ্যই পুলিশ তদন্ত করবে ইতিমধ্যে অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়েছে এবং আগামী দিনে আদালতে পেশ করা হবে।