রূপ, গুণ নয় তো অর্থ এই তিনটির বদলে যে কোন মানুষ পারে বিয়ে করতে। পণপ্রথা সমাজের বিভিন্ন স্তরে বিয়ের ক্ষেত্রে আমরা দেখে থাকি, কোন জায়গাতে দেখা যায় পণপ্রথার বিরুদ্ধে অসংখ্য মানুষ লড়ছে আবার কোথাও দেখা যায় যে পণপ্রথার উপর ভিত্তি করে নানান ভাবে নানান রকমের মানুষের বিয়ে হচ্ছে।
কিন্তু সমাজের বিভিন্ন নিয়ম কানুনের ভিত্তিতে বর্তমানে পণপ্রথা হলো আইনত দণ্ডনীয় কিন্তু কে মানে কার কথা, বলতে গেলে কুৎসিত মেয়েদের যদি বিয়ে দিতে হয় তাহলে অবশ্যই দরকার পণ এবং এই পণের লোভেই যাতে কুৎসিত মেয়েদের বিয়ে করে পাত্ররা সে দিকে অগ্রসর হয় একাধিক কন্যা সন্তানের মা বাবারা।
তবে বর্তমানে শিবসেনা নেত্রী এবং রাজ্যসভার সংসদ প্রিয়াঙ্কা চতুর্বেদী একটি পোস্ট করেছেন যাকে ঘিরে তৈরি হয়েছে নানান বিতর্ক। সমাজে বহু জায়গাতেও এখনো পণপ্রথা নিয়ে অনেক মানুষ লড়াই করে বেড়াচ্ছে, সেখানে একটি বইয়ে পণপ্রথার সম্পর্কে লেখা রয়েছে সে বিষয়েই এবার শিক্ষা মন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধানের কাছে দ্বারস্থ হয়েছেন প্রিয়াংকা।
আরো পড়ুন: প্রতি ৩ বছর পর-পর ডিভোর্স, ফের বি’য়ে করেন এই দম্পতি! কারণ শু’ন’লে আঁ’ত’কে উঠবেন
জানা গেছে যে বইটিতে পণপ্রথা সম্পর্কে লেখা রয়েছে সেই বইটি হলো নার্সদের জন্য একটি সমাজ বিদ্যার বই লিখেছেন টি কে ইন্দ্রানী। এই বইটিতে লেখা রয়েছে পণপ্রথার সুফল সম্পর্কে এবং যা নিয়ে একটি বিতর্ক সৃষ্টি।
College textbook in India. pic.twitter.com/LOM4grizJq
— Aparna (@chhuti_is) April 3, 2022
বইটিতে বলা হয়েছে যে সংসার তৈরি করতে গেলে অবশ্যই পণপ্রথা প্রয়োজন সেখানে থাকবে রেফ্রিজারেটর, বাসনকোসন, পাখা, বিছানা-বালিশ প্রভৃতি যার মাধ্যমে একটা সংসার নতুন করে গড়ে তোলা সম্ভব হবে।
বইটিতে আরো লেখা রয়েছে যে পণের টাকা ভবিষ্যতে যাতে কোন সময় কন্যাসন্তানের বিয়ের জন্য কম লাগে সেই কারণে অধিকাংশ বাবা মা রা তাদের কন্যাদের পড়াশোনা শেখাচ্ছেন এর ফলে নারী শিক্ষার বিস্তার ক্রমশই বেড়ে চলেছে।
বইটিতে লেখা রয়েছে যে যদি কুৎসিত মেয়েদের বিয়ে দিতে হয় সুন্দর পাত্রের সঙ্গে দিতে অবশ্যই সে ক্ষেত্রে বাবা-মাদের উচিত আকর্ষণীয় পণ রাখা।
বইটির এধরনের চিত্রটি সকলের সামনে উঠে আসায় নেটিজেনরা অধিকাংশই চাইছেন এই বইটিকে বন্ধ করতে। যেখানে নারী সংক্রান্ত নানান অত্যাচার চোখের সামনে দিনের পর দিন আসছে সেইখানে এই ধরনের একটি পণ প্রথাকে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে।