সব খবর সরাসরি পড়তে আমাদের WhatsApp  Telegram  Facebook Group যুক্ত হতে ক্লিক করুন

লরি ও টোটো’র সং’ঘর্ষে মৃ’ত দুই! পুলিশে’র গাড়ি’তে আ’গু’ন ধ’রি’য়ে দি’লো উ’ত্তে’জি’ত জ’ন’তা

লরি ও টোটো'র সং'ঘর্ষে মৃ'ত দুই! পুলিশে'র গাড়ি'তে আ'গু'ন ধ'রি'য়ে দি'লো উ'ত্তে'জি'ত জ'ন'তা

শুক্রবার সকালে পথ’দু’র্ঘ’ট’না’য় প্রাণ হা’রা’লেন ২ জন। এ কারণেই এলাকায় ছড়িয়ে পড়েছে চা’ঞ্চ’ল্য। পূর্ব মেদিনীপুরের কাঁথি এলাকায় এক লরি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ধা’ক্কা মা’রে এক টোটো’কে। পরিস্থিতি সামাল দিতে সেখানে পুলিশ উপস্থিত হতেই পুলিশের গাড়িতে ব্যাপক ভাঙচুর শুরু হয়। স্থানীয়রা ক্ষো’ভে ফে’টে প’ড়ে’ন এবং পুলিশের গাড়িতে আ’গু’ন’ও লাগিয়ে দেন। কারণ তারা এই দুর্ঘটনার জন্য পরোক্ষভাবে পুলিশকেই দায়ী করেছেন। এহেন ঘটনায় জখম হন বেশ কয়েকজন পুলিশকর্মী। আর এই ঘটনাকে কেন্দ্র করেই বেশ কিছুক্ষণ ১১৬ বি জাতীয় সড়কে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়।

স্থানীয় সূত্রে খবর, শুক্রবার সকালে কাঁথির দয়সাই স্ট্যান্ডের কাছে একটি পুলিশের গাড়ি দাঁড়িয়েছিল। তখন কলকাতামুখী একটি লরি বেশ জোরেই আসছিল। পুলিশের গাড়ি দেখেও লরির চালক তার গাড়ি থামায়নি। বরং তার লরির গতি আরও অনেকটাই বাড়িয়ে দিয়েছিল। আর ঠিক সেই সময় উল্টোদিক থেকে একটি দিঘামুখী বাস আসছিল। ওই বাস এবং লরির মাঝে পড়ে যায় টোটোটি।

লরির ধা’ক্কা’য় টোটোয় থাকা ২ জনের ঘটনাস্থলেই মৃ’ত্যু হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। নিহতেরা স্থানীয় একটি কারখানার কর্মী। এহেন দু’র্ঘ’ট’না’র কথা জানতে পেরেই পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। আর তখনই স্থানীয়রা ক্ষিপ্ত হয়ে পুলিশদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন, প্রায় প্রতিদিনই গাড়ি থামিয়ে পুলিশদের তো’লা’বা’জি চলতে থাকে। আর তার কারণেই নিত্যযাত্রীরা যানজটের কবলে পড়েন।

স্থানীয়রা আরও দাবি করেছেন যে, শুক্রবার সকালেও এই একই কাজ চলছিল। আর সেই ধরপাকড় থেকে বাঁচতে গিয়েই লরিচালক এই বিপত্তি ঘটিয়েছে। এরপরই তাঁরা পুলিশের গাড়ি ভাঙচুর করে নয়ানজুলিতে সেই গাড়িটিকে ঠেলে ফেলে দেয়। এমনকি গাড়িটিতে আগুনও লাগিয়ে দেওয়া হয়। বেশ কয়েকজন পুলিশকর্মী জখম হয়েছেন। শুধু কাঁথি নয়, বাঁকুড়ার পুয়াবাগানেও লরির ধা’ক্কা’য় একজন প্রা’ণ হা’রি’য়ে’ছেন বলে জানা গিয়েছে।