কুড়ি বছরের অভিনেত্রী তুনিশা শর্মার মৃত্যুর পর থেকে টেলিভিশন ইন্ডাস্ট্রি রীতিমত তোলপাড় হয়ে যাচ্ছে। গত শনিবার আলিবাবা ধারাবাহিকের মেকআপ রুম থেকে উদ্ধার করা হয়েছে নায়িকার ঝুলন্ত দেহ। ইতিমধ্যেই মৃত নায়িকার মা ধারাবাহিকের আরেক অভিনেতা সিজান খানের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ দায়ের করেছেন। আত্মহত্যার প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছে অভিনেত্রীর প্রেমিককে।
আপাতত ১৪ দিনের বিচার বিভাগীয় হেফাজতে রয়েছেন তিনি। তবে এরই মধ্যে সোমবার এটি সাংবাদিক সম্মেলনে এসে সিজনের পরিবার থেকে অভিনেত্রীর মায়ের ওপর অভিযোগ দায়ের করা হয়। সংবাদ মাধ্যমের সামনে সিজানের বোনের দাবি, তুনিশার মা চাইতেন না সিজানের সঙ্গে তার বিয়ে হোক। ঠিক এই কারণে নায়িকার মন খারাপ ছিল।
আমার দাদার সঙ্গে ওর সম্পর্ক খুব ভাল ছিল। কিন্তু ওর মা এই সম্পর্ক মেনে নিতে পারেনি। একদিন দাদা তুনিশাকে বলেছিল, চলো আমরা যে যার কাজে মন দিই। তুমি তোমার মত জীবন যাপন কর। আমি চাইনা তুমি কারোর উপর নির্ভরশীল হয়ে পড়। চলো একে অপরকে সময় দিই।
আরো খবর: প্রিয় মানুষ কঠিন অসু’খে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন, মানসিক অ’ব’স্থা নিয়ে মু’খ খুললেন দোলন রায়
সিজানের পরিবার আরো দাবি করে, ছোটবেলা থেকে কিছু ঘটনার জন্য মানসিক অবসাদে ভুগতেন তুনিশা। এক আঙ্কেলের কথাও উল্লেখ করেন তারা। ওই ব্যক্তিকে নাকি ভীষণ ভয় পেতেন অভিনেত্রী। এমনকি অভিনেত্রী নাকি নিজের মাকেও তার শৈশবের মানষিক সবার কারণ হিসেবে দায়ী করেছেন বারবার।
সিজানের মা বলেন, আমার ছেলে নাকি তুনিশাকে থাপড় মেরেছে এমন ওর মা দাবি করেছে। যদি আপনার সন্তানকে এভাবে মারধর করা হয় তাহলে কি আপনি চুপ করে থাকবেন। এমন যদি আমার সন্তানকে করা হতো আমি কি চুপ করে বসে থাকতাম? এরকম কিছু হলে উনি তো নিশ্চয়ই আমাকে ফোন করে বলতেন। আমাদের মধ্যে কিন্তু কোন কথাই হয়নি। এখন হঠাৎ এমন অবান্তর কথা কেন বলছেন জানি না।
আমিও বিচার চাই কারণ ও আমার মেয়ের মত ছিল। কিন্তু এখন আমার নির্দোষ ছেলে জেলে রয়েছে। আমরা এর বিচার চাই।এই প্রসঙ্গে সিজনের আইনজীবী শৈলেন্দ্র মিশ্র বলেন, সঞ্জীব কৌশলের নাম শুনে তুনিশা আতঙ্কিত হয়ে পড়তেন। সঞ্জীব কৌশলের প্ররোচনায় তুনিশার মা তার ফোন ভেঙে দিয়েছিলেন।
