মারন ভাইরাসের হাত থেকে রক্ষা পেতে আমাদের দরকার প্রত্যেকদিন প্রোটিন জাতীয় খাবার সেবন করা। শুধুমাত্র রক্ষা পেতে বললে ভুল বলা হবে, যদি আপনার হয়ে থাকে করোনা, তাহলে আপনাকে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন এবং ভিটামিন সেবন করতে হবে। তাই প্রচুর পরিমানের ডিম মাছ মাংস খাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন চিকিৎসকরা। আজ আমরা কথা বলবো রুই মাছ নিয়ে। শরীরের কর্ম ক্ষমতা বাড়ানোর জন্য রুই মাছের ভূমিকা কতখানি তা আমরা হয়তো অনেকেই জানিনা। তাই আজ আমরা এই প্রতিবেদনের মাধ্যমে জেনে নেব, রুই মাছের বিভিন্ন উপকারিতার কথা।
১, রুই মাছ শরীরের কর্মচঞ্চলতা বৃদ্ধি করে। রুই মাছের মধ্যে থাকে ব্যাপক আকারে ওমেগা থ্রি ফ্যাটি আসিড যা আমাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে দেয়। বিশেষজ্ঞদের মত অনুযায়ী, রুই মাছের মধ্যে এমন কিছু প্রাকৃতিক উপাদান থাকে যা আমাদের হাড়ের রোগ সারিয়ে দিতে সাহায্য করে।
২. ছোটবেলা থেকেই পড়ে এসেছি মাছের চোখ হওয়া খুবই উপকারী আমাদের প্রত্যেকের জন্য। রুই মাছ আমাদের সার্বিকভাবে দৃষ্টিশক্তির উন্নতি ঘটাতে সাহায্য করে। বর্তমান পরিস্থিতিতে আমরা দিনের বেশিরভাগ কম্পিউটার অথবা ল্যাপটপ এর সামনে সময় কাটিয়ে দিন। নিঃসন্দেহে এর ফলে সবথেকে ক্ষতিগ্রস্ত হয় আমাদের চোখ, যেটি আমাদের সব থেকে মূল্যবান একটি অঙ্গ।
তাই চোখ নিয়ে যদি আপনিও চিন্তা করে থাকেন তাহলে আজকেই রুই মাছকে আপনার বন্ধু বানিয়ে ফেলুন। রুই মাছের মধ্যে ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড শুধুমাত্র আপনার দৃষ্টি শক্তির উন্নতি ঘটায় তা কিন্তু নয়, একইসঙ্গে ম্যাকুলার ডিজেনারেশন কেও প্রতিরোধ করে।
৩. প্রতিদিন যদি আপনি রুই মাছ খেতে পারেন তাহলে আপনার শরীরে ইপিএ এবং ডিএইচএ, এর মাত্রা বৃদ্ধি পেতে থাকে। এটি শরীরের প্রত্যেকটি অংশে প্রভাব এতটাই বাড়িয়ে দেয় যে, ইকোসনোয়েড নামক একটি হরমোনের প্রভাব আমাকে শরীরে কমতে শুরু করে দেয়।
৪. রুই মাছের মধ্যে উপস্থিত ওমেগা থ্রি ফ্যাটি এসিড আমাদের ত্বককে রক্ষা করে সূর্যের অতিবেগুনি রশ্মির হাত থেকে। এছাড়া মাঝে উপস্থিত প্রোটিন কোলাজেনের কর্মক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে ফলে ত্বক স্বাভাবিক ভাবেই উজ্জ্বল এবং প্রাণবন্ত হয়ে থাকে।