২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচন নিয়ে দেশের রাজনীতি সরগরম। বিশেষত বিহারে নিজেদের একচ্ছত্র আধিপত্য প্রতিষ্ঠা করতে মরিয়া হয়ে উঠেছে দেশের শাসক দল বিজেপি। কিন্তু মোদিকে পড়াস্ত করতে কি ম্যাজিক দেখাতে চলেছেন, নিতিশ কুমার। প্রসঙ্গত বিজেপির সঙ্গে জোট ভেঙ্গে ফেলেছে নীতিশ কুমারের জনতা ইউনাইটেড দল। তারপর থেকেই জল্পনা উঠে এসেছে, ২০২৪ সালের মোদী বিরোধী প্রধান মুখ তিনি। যদিও প্রধানমন্ত্রী হওয়ার কোন ইচ্ছে নেই সে কথা বারবার প্রকাশ করেছেন তিনি।
তবে লোকসভা নির্বাচনে অবিজেপি অকংগ্রেসি দলগুলি একসঙ্গে নতুন ফ্রন্ট করবে কিনা সে ব্যাপারে বেশ কিছু বার্তা দিয়েছেন নীতিশ কুমার। JDU প্রধান জানিয়ে দিয়েছেন এমন কোন জোট গঠিত হবে না। তৃতীয় ফন্টের সম্ভাবনা নেই কারণ এবার তাদের একমাত্র বিরোধী পক্ষ বিজেপি। বিজেপি বিরোধী সকল রাজনৈতিক দলগুলি যদি একত্র হয় তবেই পরাজিত করা যাবে গেরুয়া শিবিরকে। তবে রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা বলছেন আসলে প্রধানমন্ত্রী হওয়ার জন্য জোরদার প্রচেষ্টা চালাচ্ছেন নীতীশ কুমার।
তাই বিজেপির হাত ছেড়ে তেলেঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রী কে চন্দ্রশেখর এবং দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল সহঅন্যান্য বিজেপি বিরোধী সংগঠনগুলির সঙ্গে দফায় দফায় বৈঠক করেছেন নীতিশ কুমার। সোনিয়া গান্ধীর সঙ্গেও বৈঠক করার কথাবার্তা চলছে। একজোট হওয়া নাকি শুধু সময়ের অপেক্ষা।
যদিও বারবার সেই কথা খারিজ করে দিয়েছেন নিতিশ কুমার।তিনি স্পষ্ট জানিয়েছেন সব বিরোধীদল গুলি এক জোট করার চেষ্টা করব। কিন্তু সবাই সায় দেবে কিনা সেখানেই রয়েছে বড় প্রশ্ন। কিন্তু বিরোধীরা এক সঙ্গে হলেও তাদের নেতৃত্ব দেবেন কে? নিতিশ কুমার না রাহুল গান্ধী! প্রশ্ন তুলেছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।
অন্যদিকে বিজেপির বিরুদ্ধে শক্তি বৃদ্ধি করতে কয়েক গুণ এগিয়ে রয়েছেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল। কম যান না মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও। আবারো কানাঘুষো দেশীয় রাজনীতিতে।