বাংলায় চালু হল নয়া পরিষেবা। আনুষ্ঠানিকভাবে কৃষকদের জন্য কৃষক স্পেশাল ট্রেনের শুভসূচনা হল গেদে স্টেশনে মঙ্গলবার সকালে। নদিয়ার গেদে ও শান্তিপুর থেকে ৯ কামরার কৃষক স্পেশাল ট্রেন আসবে শিয়ালদহে। কৃষকরা মনে করছেন স্পেশাল ট্রেন চালু হওয়ায় সবজি, ফল, ফুল ও ছানা কোনোকিছুই আর কলকাতায় আনতে অসুবিধা হবে না। গত কয়েক মাস আগে রানাঘাট লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি সংসদ কৃষকদের জন্য স্পেশাল ট্রেন চালু করার দাবিতে রেল দফতরে একটি চিঠি পাঠিয়েছিলেন। আজ তার আনুষ্ঠানিকভাবে শুভ সূচনা হল ভারত বাংলাদেশ সীমান্ত গেদে স্টেশনে।মঙ্গলবার সকালে রানাঘাটের বিজেপি সাংসদ জগন্নাথ সরকার নদিয়ার গেদে স্টেশন থেকে শিয়ালদামুখী কৃষক স্পেশাল ট্রেনের উদ্বোধন করেন।
এদিন কৃষক স্পেশাল ট্রেনের শুভ উদ্বোধনের অনুষ্ঠানে গেদে রেলস্টেশনে উপস্থিত ছিলেন রেলের উচ্চপদস্থ অফিসার সুরেন্দ্র প্রতাপ সিং (ডি, আর ,এম) সহ রেলের আধিকারিকরা।জানা গিয়েছে, যেকোনও বগিতে তোলা যাবে সবজির ঝুড়ি বা ছানার ড্রাম। দুপুরে আরও একটি স্পেশাল ট্রেন শান্তিপুর থেকে যায় শিয়ালদায়। যদিও করোনা আবহে লোকাল ট্রেন চলাচল বন্ধ। স্টাফ স্পেশাল চললেও, অফিসে টাইমে ভিড়ের জন্য তাতে উঠতে সমস্যায় পড়ছেন সবজি ব্যবসায়ীরা। এই পরিস্থিতিতে কৃষকদের জন্য চালু হল দুটি স্পেশাল ট্রেন।
রোজ সকাল ৮টা ১৫য় গেদে থেকে শিয়ালদায় আসছে একটি কৃষক স্পেশাল ট্রেন। শিয়ালদাগামী স্পেশাল ট্রেন শান্তিপুর থেকে ছাড়ছে দুপুর ৩টা ১০-এ। ৯ কামরার এই স্পেশাল ট্রেনে চারটি বগি ভেন্ডার, তিনটি মোটর কোচ ও দুটি জেনারেল। মান্থলি ভেন্ডার সিজন টিকিট, লাগেজ টিকিট কেটে যাতায়াত করতে পারবেন কৃষকরা। কৃষকদের জন্য স্পেশাল ট্রেন চালু নিয়েও শুরু হয়েছে তৃণমূল-বিজেপির মধ্যে বিরোধ।
বিজেপি সাংসদ জগন্নাথ সরকার জানান, কৃষকদের কথা মাথায় রেখেই এই চিন্তা ভাবনা করা হয়েছে। তিনি বলেন, কৃষকদের পক্ষ থেকে আমাকে মৌখিকভাবে জানানো হয়েছিল এরপরেই আমি তৎপর হয়ে রেল দফতরে একটি চিঠি পাঠিয়েছিলাম। রেলের পক্ষ থেকে এখন তা বাস্তবায়িত হল। আমি রেল দফতরের কাছে খুবই কৃতজ্ঞ। এমনকি এমন উদ্যোগ সত্যিই প্রশংসনীয়।
অন্যদিকে, তৃণমূল কংগ্রেসের রানাঘাট সাংগঠনিক জেলার সভাপতি রত্না ঘোষ কর বলেন, “কৃষক স্বার্থে কাজ করছি বলে এটা ওরা বলছেন তা ঠিক নয়, কেন্দ্র সরকার কৃষকবিরোধী এটা প্রমাণিত”। পূর্ব রেল সূত্রে জানা গেছে, কৃষক স্পেশাল ট্রেন আগামী দিনে অন্য রুটেও চালানো হতে পারে।
