সব খবর সরাসরি পড়তে আমাদের WhatsApp  Telegram  Facebook Group যুক্ত হতে ক্লিক করুন

স্কুল না যাওয়ার কা’র’ণে ওরা ভু’ল’তে ব’সে’ছে “বর্ণপরিচয়”

করোনার জন্য দীর্ঘ প্রায় দেড় বছরেরও বেশি সময় ধরে মানুষ ঘরবন্দি। বিশেষত ছোট ছোট পড়ুয়াদের স্কুলে যাওয়ার কোনো উপায় নেই। এই পরিস্থিতির কবে পরিবর্তন হবে, তার কোনো নিশ্চয়তা নেই। বর্তমান পরিস্থিতি দাঁড়িয়ে সব থেকে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে শিশুরা। করোনার জন্য স্কুল কলেজ দীর্ঘদিন ধরেই বন্ধ। লকডাউন কাটিয়ে অন্যান্য ক্ষেত্রগুলিতে ক্রমে গতি এলেও শিক্ষাব্যবস্থা চরম সংকটের মুখে পৌঁছেছে।

অনলাইনে অবশ্য শুরু হয়েছে পড়াশোনা। তবে সেই সুযোগ ক’জনই বা পাচ্ছে? দেশের সব প্রান্তে এখনো ইন্টারনেট, স্মার্ট ফোনের সুবিধা এসে পৌঁছায়নি। অতএব দীর্ঘ প্রায় দেড় বছরেরও বেশি সময় ধরে দেশের বিভিন্ন প্রান্তের পড়ুয়াদের সঙ্গে পড়াশোনার সংশ্রব ছিন্ন হয়েছে। এমন এক পরিস্থিতিতে যদিও বা অনলাইনে পড়াশোনা চালু হয়েছে, তাতেও পড়ুয়াদের খুব সুবিধা হচ্ছে না। যার ফলে স্কুল ছুটের হার বাড়ছে।

তার উপর উঠে এলো ভয়ঙ্কর এক তথ্য। স্কুলে না গিয়ে ছাত্রছাত্রীরা বর্ণপরিচয়ও ভুলতে বসেছে! বহু ছাত্র-ছাত্রী ঠিকমত লিখতে এবং পড়তেও পারছে না। বাক্যের গঠনে অজস্র ভুল ধরা পড়ছে। করোনাকালে ছাত্র-ছাত্রীদের অ্যাক্টিভিটি টাস্ক বা গৃহ পাঠ পর্যবেক্ষণ করে এমনই তথ্য দিচ্ছেন শিক্ষক-শিক্ষিকারা। শিক্ষক-শিক্ষিকাদের দাবি, দেড় বছর ধরে স্কুলে না গিয়ে ছাত্র-ছাত্রীরা অনেকটাই পিছিয়ে পড়েছে।

এমতাবস্থায় স্কুলে যখন আবারও পঠন-পাঠন শুরু হবে তখন ছাত্র-ছাত্রীদের পূর্বাবস্থায় ফিরিয়ে আনতে শিক্ষক-শিক্ষিকাদের জোর চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে হবে। এই ক্ষতি কিভাবে সামাল দেওয়া যায় তা ভেবে কূলকিনারা পাচ্ছেননা শিক্ষক-শিক্ষিকারা।