সব খবর সরাসরি পড়তে আমাদের WhatsApp  Telegram  Facebook Group যুক্ত হতে ক্লিক করুন

এরা হলেন দেশের সবথেকে লম্বা পরিবারের লোকজন, জুতো আ’না’তে হয় অন্য দেশ থে’কে

প্রত্যেকেই নিজের জীবনে যথেষ্ট উচ্চতা লাভ করার চেষ্টা করে। প্রত্যেকে নিজে অথবা নিজের শিশুকে ব্যায়াম এবং পরিচর্যার মাধ্যমে সঠিক উচ্চতা প্রদান করার চেষ্টা করে থাকেন। মানুষের উচ্চতা যে খাওয়া-দাওয়ার ওপর নির্ভর করে তা নয়, প্রত্যেকটি মানুষের উচ্চতা নির্ভর করে বংশগত কারণে। বংশপরম্পরায় মানুষ লম্বা অথবা বেঁটে হয়ে থাকে।

এটিকে বলা হয় জিনগত প্রক্রিয়া। এমন একটি পরিবার হলে মহারাষ্ট্র রাজ্যের কুলকার্নি পরিবার। এই পরিবারের সমস্ত সদস্য এর উচ্চতা কমপক্ষে ৬ ফুট ৪ ইঞ্চি। নিঃসন্দেহে এই পরিবারের প্রত্যেকটি মানুষ যে উচ্চতার দিক থেকে বেশ অনেকটাই লম্বা তা বলাই বাহুল্য।

এই পরিবারের সদস্য সরোজ কুলকার্নি এবং তাঁর পত্নী সঞ্জনা কুলকার্নি বিশ্বের সবথেকে লম্বা মানুষের রেকর্ড ইতিমধ্যেই তৈরি করে ফেলেছেন। সালে বিশ্বের মধ্যে সবথেকে উচ্চতম ব্যক্তির জুটি হিসেবে গিনিস বুকে নাম উঠে গেছে এই জুটির।

কিশোর বয়স থেকেই এত লম্বা হওয়ার জন্য তারা স্পোর্টস জয়েন করেন এবং দেশের হয়ে বাস্কেটবলে প্রতিনিধিত্ব করেছেন সরোদ কুলকার্নি।

এরপর সরোদবাবু বিয়ে করেন এবং দুই কন্যা সন্তানের জন্ম হয়। প্রথম সন্তানের উচ্চতা হলে ৬ ফুট ১ ইঞ্চি এবং দ্বিতীয় সন্তানের উচ্চতা হল ৬ ফুট ৪ ইঞ্চি। তবে এত উচ্চতার কারণে অনেকাংশে অসুবিধার সম্মুখীন হতে হয় এই পরিবারের মানুষকে।

পাবলিক ট্রান্সপোর্টে যাতায়াত করার সময় মাথা নিচু করে যাতায়াত করতে হয় এই দম্পতিকে অথবা নিজেদের পছন্দের পোশাক সহজে কিনতে পারেন না এই পরিবার।

শরীরের মাপ এর পোশাক অথবা পায়ের মাপ এর যুদ্ধ অনেক সময় পাওয়া যাওয়ার ফলে জুতো এবং পোশাক অর্ডার দিয়ে তৈরি করতে হয়। এত লম্বা হওয়ার জন্য মানুষ অনেক সময় অবাক এবং অদ্ভুত ভাবে তাকিয়ে থাকে এই পরিবারের মানুষদের দিকে। তবে এতকিছুর পরেও এই পরিবারের প্রত্যেকটি মানুষ একে অপরেরকে ভালবেসে সুখে শান্তিতে রয়েছেন।