ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে প্রতিমুহূর্তে লড়াই করে বেঁচে থাকতে হয়। সুশান্তের মৃত্যু আমাদের অনেক কিছু শিখিয়ে গেছে। আপাতদৃষ্টিতে যে জগতকে আমাদের চাকচিক্যপূর্ণ মনে হয়, তা যে আসলে কতটা অন্ধকারাচ্ছন্ন, সেটা বোধহয় আগে আমাদের জানা ছিল না। তবে এমন অনেক মানুষ আছেন যারা খুব সাধারন একটি চরিত্রে অভিনয় করে রাতারাতি জনপ্রিয় হয়ে গেছেন।
চরিত্রটিকে তারা এত সুন্দর করে ফুটিয়ে তুলেছিলেন, পরে হয়তো অনেক অভিনেতার মনে হয়েছে তারা এই চরিত্রের জন্য অভিনয় করতে পারলে ভালো হতো। এমন একটি চরিত্র হলো জেঠালাল। তারাক মেহতা কা উল্টা চশমা, খ্যাত জেঠালাল চরিত্রে অভিনয় করেন দিলীপ যশি। এই চরিত্র তার জীবনে নতুন একটি দিক খুলে দিয়েছিল।
আসলে টেলিভিশন ইন্ডাস্ট্রিতে যখন তার পিঠ দেয়ালে ঠেকে গিয়েছিল, ঠিক তখনই তার কাছে আশীর্বাদ হয়ে আসে এই চরিত্র। আজ নিজের অভিনয় দক্ষতার দ্বারা আরো একবার খ্যাতির’ শিরোনামের পৌঁছে গিয়েছিলেন তিনি এবং পরিচালকের অভিনেতা বাছাই যে একেবারে ভুল ছিল না, সেটাও আজ সকলেই স্বীকার করে নেন।
তবে জেঠালাল চরিত্রের অফার কিন্তু অনেকের কাছে গিয়েছিল দিলীপের আগে। তারা প্রত্যেকে এই চরিত্রের অফার ফিরিয়ে দিয়েছিলেন। কিকু শারদা, রাজপাল যাদব, যোগেশ ত্রিপাঠী, এহসান কুরেশি, আলি আসগারের মতো বড়মাপের অভিনেতারা একে একে ‘জেঠালাল’ এর চরিত্রের অফার ফিরিয়েছেন। যদিও তাতে ভালোই হয়েছিল দিলীপের। সকলে ফিরিয়ে না দিলে আজ তিনি এই জায়গায় দাঁড়িয়ে থাকতে পারতেন না।
সম্প্রতি দিলিপ যোশী একটি পুরনো সাক্ষাৎকারী এই প্রসঙ্গটি উঠে এসেছিল সকলের সামনে। সাক্ষাৎকারে অভিনেতা বলেছেন, জেঠালালের চরিত্রে অভিনয় করার আগে তার কাছে কোনো কাজ ছিল না প্রায় ১ বছর।
একটি ধারাবাহিকে তিনি অভিনয় করেছিলেন কিন্তু তার মাঝপথে বন্ধ হয়ে যায়। সেই সময়টা তার জন্য ভীষণভাবে কঠিন ছিল। অনেক সময় আত্মহত্যার কথাও ভেবেছিলেন তিনি। ঠিক সেই মুহুর্তে জেঠালালের চরিত্রের অফার তার কাছে আসে।
স্বাভাবিকভাবেই আর একবারও ভেবে দেখেননি তিনি। মনপ্রাণ ঢেলে অভিনয় করে গেছেন সেই চরিত্রে। বাকিটা আর কাউকে বলে দিতে লাগে না। এই গল্পটি আরও একবার প্রমাণিত করে দেয়, জীবন কখন কিভাবে ঘুরে যাবে তা আপনি ভাবতেই পারবেন না। যে অভিনেতারা এই চরিত্রে অভিনয় করার জন্য রাজি হননি, তারা যদি রাজি হয়ে যেতেন তাহলে তাদের ক্যারিয়ার আজ আকাশচুম্বী হত।