বলিউড ইন্ডাস্ট্রিতে বাইরে থেকে যতই চাকচিক্য হোক না কেন ভেতরে পুরোটাই অন্ধকার। বলিউড স্টার দের জীবনযাপন সম্পর্কে আমাদের চিরকালই আগ্রহ প্রচুর। কিন্তু তাদের জীবনে কতখানি স্ট্রাগল রয়েছে তা বোধহয় আমরা অনেকেই জানিনা। একজন শিল্পীর অন্ধকার সত্যকে অনুধাবন করা আমাদের পক্ষে সম্ভব হয় না। অনেক সময় অভিনেতা অভিনেত্রীরা তাদের ব্যক্তিগত জীবন সম্পর্কে সকলের কাছে কিছু সত্য উদঘাটন করার চেষ্টা করেন। সে শত থেকে আমরা জানতে পারি এক শিল্পীর জীবনের অন্ধকারময় ঘটনা সম্পর্কে।
আজ আপনাদের জানাবো এক বলিউড অভিনেত্রীর জীবন যুদ্ধের কথা। যাকে তার দেহের সাথে মোকাবিলা করতে হয়েছিল আর্থিক সীমাবদ্ধতার কারণে। দুর্ভাগ্যজনকভাবে কেউ এই অভিনেত্রীকে সাহায্য করার জন্য এগিয়ে আসেননি। নিরুপায় হয়ে নিজের শরীর বিক্রি করতে হয়েছিল তাকে। আজ কথা বলব অভিনেত্রী শ্বেতা বসু প্রসাদ সম্পর্কে। মাকড়ি ছবি থেকে চলচ্চিত্র জগতে পা রেখেছিলেন তিনি। তার অসাধারন অভিনয় দেখে সকলেই মুগ্ধ হয়েছিলেন এবং খুব কম সময়ের মধ্যে তিনি প্রচুর খ্যাতি অর্জন করেছিলেন।
হিন্দি সিনেমা ছাড়াও তিনি বাংলা তেলেগু এবং তামিল সিনেমায় কাজ করেছেন। কিন্তু হঠাৎ করেই তার জীবন অন্ধকারের দিকে চলে যায় এবং আর্থিক অভাবের মুখোমুখি হয়েছিলেন তিনি। শেষমেষ তাকে পতিতাবৃত্তির পথে নামতে হয়েছিল। নিজেই তিনি স্বীকার করেছিলেন যে অর্থের অভাবে এই কাজ করতে হয়েছিল তাকে। সবদিক থেকে যখন অর্থ আসা বন্ধ হয়ে যায় তখন কার্যত বাধ্য হয়ে এই পথ অবলম্বন করতে হয়েছিল তাকে।
আজ তিনি অনেকটাই সুস্থ জীবনে ফিরে এসেছেন। তার প্রথম ছবির জন্য তিনি সেরা শিশু শিল্পীর জাতীয় পুরস্কার পেয়েছিলেন। কিন্তু তাঁর অসময়তে তার পাশে এসে কেউ দাড়ান নি। সুশান্ত সিং রাজপুত হোক অথবা অভিষেক, সকলের জীবন থেকে আমরা এইটুকু বুঝতে পারি যে, আপাতদৃষ্টে যে জগতকে চকচকে দেখতে লাগে, সেখানে ভালোবাসা এবং সহমর্মিতার স্থান একেবারেই নেই।