আগামী ৩১ শে জানুয়ারি শুরু হচ্ছে বহু প্রতীক্ষিত বাজেট অধিবেশন। সংসদে তার আগেই কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভায় কিছু রদবদল আসতে চলেছে। ১৬ই জানুয়ারি দিল্লিতে বসবে বিজেপির জাতীয় কর্ম সমিতির বৈঠক। দুই দিন ধরে এই বৈঠক চলবে এই মন্ত্রিসভায় বিরাট রদবদল আসতে পারে বলেই মনে করা হচ্ছে। বিজেপি সূত্রে খবর কয়েকজন কেন্দ্রীয় মন্ত্রীকে সংগঠনের কাজে ব্যবহার করা যেতে পারে আবার নতুন মুখ আসতে পারে মন্ত্রীত্বে।
বাংলায় কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রয়েছেন জন বারলা , নিশীথ প্রামানিক শান্তনু ঠাকুর সুভাষ সরকার। অনেকেই ভেবেছিলেন লকেট চট্টোপাধ্যায় হতে পারেন মন্ত্রী কিন্তু তাকে খাদ্য ও গণ বন্টন বিভাগের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। লোকসভা নির্বাচনের আগে বেশ কয়েকটি রাজ্যে রয়েছে বিধানসভা নির্বাচন। নির্বাচনগুলিতে বিজেপির ভিত শক্ত করতে উঠে পড়ে লেগেছে গেরুয়া শিবির।
কর্ণাটক রাজস্থান ছত্তিশগড়ে রয়েছে বিধানসভা নির্বাচন। বিবেচনা করে নতুন সিদ্ধান্ত গৃহীত হতে পারে বলেই মনে করা হচ্ছে। মন্ত্রিসভায় রদবদল নিয়ে বেশ কয়েকটি হিসাব কষা হয়ে গিয়েছে ইতিমধ্যেই। গুজরাট বিধানসভা নির্বাচনে সংখ্যাগরিষ্ঠ বিজেপির জয় আবার হিমাচলে বিজেপির পরাজয় সবমিলিয়ে চাপে রয়েছে গেরুয়া শিবির।
মন্ত্রিসভার রদবদল নিয়ে হিসেব করা হয়ে গিয়েছে। ২০১৯ লোকসভা নির্বাচনে গুজরাটের কেন্দ্র থেকে জয়লাভ করেন সিআর পাতিল। বর্তমানে তিনি গুজরাট বিজেপির সভাপতি তাকেও আনা হতে পারে মন্ত্রিত্বে। আবার অনুরাগ ঠাকুরকে বিদায় জানানো হতে পারে। কারণ তার ব্যর্থতার জন্যই হিমাচলে পরাজয় হয়েছে বিজেপির বলেই মনে করা হচ্ছে।
গত বছর মন্ত্রিসভায় থেকে বিদায় নিয়েছিলেন প্রকাশ জাভরেকার রবিশঙ্কর প্রসাদ তার জায়গায় এসেছিলেন অশ্বিনী বৈষ্ণব মোক্তার আব্বাস নকভি। শিবসেনা জেডইউ থেকে কোন মন্ত্রী স্থান পাননি।
তবে এবারে রাম বিলাস পাশওয়ানের ছেলে মন্ত্রিসভায় আসতে পারেন বলেও শোনা যাচ্ছে। শিক্ষামন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধানকেও সংগঠনের কাজে ব্যবহার করা যেতে পারে।