বর্ষায় নদী-নালা খাল-বিল সমস্তকিছুই জলে ভরে যায় এটাই স্বাভাবিক এবং জলে যখন নদী-নালা ভরে যায় তখন অনেকেরই মাছ ধরার একটি স্বভাব থাকে। এরকমই ঘটনা ঘটেছিল ময়নাগুড়ির পানবাড়ি এলাকায়। পুকুরে জল টইটুম্বুর হওয়ার জন্য মাছ ধরতে গিয়ে ছিলেন এক যুবক।
বৃহস্পতিবার রাতে এই মাছ ধরার ঘটনাটি ঘটে। প্রবল বৃষ্টির জেরে মাথায় ছাতা নিয়ে মাছ ধরতে যান তিনি, হঠাৎ করেই যেন পায়ে কি কামড় দেয়, সেই যুবকের শরীর কেঁপে ওঠে, এরপরই দেখেন একটা সাপ, গ্রামের ছেলে তাই সাহস একটু বরাবরই বেশি।
খপাত করে সেই সাপটিকে ধরে একটি ব্যাগের মধ্যে নিয়ে সোজা পৌঁছে যান জলপাইগুড়ি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল। এরপরে ডাক্তারের আসে বস্তা খুলেই অবাক হয়ে যান। বিশেষ করে সাপে কামড়ানো কোন রোগীকে যদি ডাক্তারদের চিকিৎসা করতে হয় তবে সেক্ষেত্রে আগে জানতে হয় যে কি সাপ কামড়েছে, যার ফলে চিকিৎসা অত্যন্ত দ্রুত ভাবে শুরু হতে পারে।
আরো পড়ুন: এখনকার ছেলেরা অ’যো’গ্য! ৬১ বছর বয়সী যুবকের প্রে’মে পা’গ’ল অষ্টাদশী যুবতি! ভাইরাল ভিডিও
সেই যুবক এই ব্যাপারে অবগত ছিল সেই কারণেই সে বস্তায় করে সে সাপটিকে ধরে নিয়ে গিয়েছিল। তবে তাতেও কোনো সুরাহা হয়নি কারণ সেই সাপটি অতি বিরল প্রজাতির ছিল। কি প্রজাতির সাপ সেটা ডাক্তারদের পক্ষে চেনা সম্ভব হচ্ছিল না এর ফলে গোটা হাসপাতাল চত্বরে হৈচৈ শুরু হয়ে গিয়েছিল।
এই গোটা খবর শুনে উপস্থিত হয় হাসপাতালে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন এবং তারা এই সাপটিকে সনাক্তকরণ করেন। সেই সাপটি হলো ইন্দোনেশিয়ার পিট ওয়াইপার, স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের দ্বারা সাপটিকে সনাক্ত করা গেলে ওর পরেই চিকিৎসা শুরু করেন ডাক্তারেরা, যার ফলে ওই যুবক প্রাণে বাঁচে।
স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের এক কর্মী জানান, যখন রাত ১১:৩০ ঠিক তখনই তাদের কাছে একটি কল আসে এই মুহূর্তে বৃষ্টিকে উপেক্ষা করে পৌঁছে যান হাসপাতালে এবং সেখানে শনাক্ত করেন ওই সাপটিকে। বর্তমানে সেই যুবক এখন সুস্থ হয়েছে এবং সাপটিরও কিছু আঘাত লেগেছিল তবে বনদপ্তরের হাতে সেই সাপটিকে তুলে দেওয়া হয়েছে।