সব খবর সরাসরি পড়তে আমাদের WhatsApp  Telegram  Facebook Group যুক্ত হতে ক্লিক করুন

এতই খি’দে পে’য়ে’ছে? জ্যান্ত সা’প চি’বি’য়ে খে’লো যুবক, এরপর যা হলো

ট্যুইটারে সম্প্রতি একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। যা দেখে অবাক হওয়ার পাশাপাশি অনেক পশুপ্রেমী ক্ষোভে ফেটে পড়েছেন। ভাইরাল হওয়া একটি ভিডিওতে দেখা গেছে যে একটি জ্যান্ত সাপকে চিবিয়ে খাচ্ছে এক যুবক। খুব কম সময়ের মধ্যে অনেকেই বিখ্যাত হওয়ার স্বপ্ন দেখেন। এখন অবশ্য সোশ্যাল মিডিয়ার দৌলতে সে উপায়ও হয়ে গেছে অনেকটা সহজ। একটু অন্যরকম কিছু করলে তা ভাইরাল হয়ে যায় নেট দুনিয়ায় ভীষণই তাড়াতাড়ি। আর তার মাধ্যমে পাওয়া যায় লাইক, কমেন্ট ও অনেক অনেক শেয়ারের বন্যা। কিন্তু, শুধুমাত্র লাইক পাওয়ার আশায় মানুষ এতটা নৃশংস হতে পারে??এটা হয়তো জানা যেত না যদি না একটি ভিডিও ভাইরাল হত। যা দেখে বহু মানুষ রীতিমতো আঁতকে উঠেছেন।

সম্প্রতি ট্যুইটারে একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। যা দেখে অনেকে অবাক হয়েছেন ঠিকই কিন্তু পাশাপাশি গর্জে উঠেছেন অনেক পশুপ্রেমীও। ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে একটি জ্যান্ত সাপকে চিবিয়ে খাচ্ছে এক যুবক। এই কথা শুনে সাধারণ মানুষের তো আঁতকে ওঠারই কথা। কিন্তু, ওই যুবক হাসিমুখে রীতিমতো দাঁত দিয়ে সাপটিকে চিবিয়ে চিবিয়ে খাচ্ছে। সাপের শরীরে বেশ অনেকটা অংশই রয়েছে তার মুখের মধ্যে। আর বাকি অংশ ঝুলছে তার মুখের বাইরে। এদিকে সাপের অবস্থা তখন খুবই করুণ। যন্ত্রণায় কুঁকড়ে যাচ্ছে সাপটি। কোনওরকমে বাঁচার চেষ্টা করছে। যদিও পারছে না। কিন্তু ওই দিকে ওই যুবকটির কোনো ধ্যান নেই। সে আপন মনে সাপটিকে খেয়ে যাচ্ছে। কারণ তাকে ভাইরাল হতে হবে!

সম্ভবত এই ঘটনাটি ঘটেছে হায়দ্রাবাদে। তার এই আচরণ দেখে অবাক হয়ে গিয়েছেন নেটিজেনরা। কীভাবে মানুষ এতটা নৃশংস হতে পারে তা ভেবে পাচ্ছেন না অনেকেই। তাঁর বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন বহু মানুষ। এরূপ নৃশংস ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন বিভিন্ন পশুপ্রেমী সংগঠন এবং অন্যান্য পশুপ্রেমীরাও। ফরেস্ট অ্যান্ড ওয়াইল্ডলাইফ প্রোটেকশন সোসাইটির টুইটার হ্যান্ডেল থেকে এই ঘটনার প্রতি হায়দ্রাবাদের পুলিশের দৃষ্টিগোচর করা হয়েছে।

অবিলম্বে অভিযুক্ত যুবক এবং এই কাজের সঙ্গে আর যারা যুক্ত, তাদের সকলকে উপযুক্ত শাস্তি দেওয়ার জন্য ব্যবস্থা নেওয়ার আবেদন জানিয়েছে ওই পশু সুরক্ষা সংস্থা। আর এই ভিডিও দেখার পর নড়েচড়ে বসেছে পুলিশ ও প্রশাসন। ওই যুবকের পরিচয় কি,ঘটনাটি কোথায় ঘটেছে এসব বিষয়ে তদন্ত চালানো হচ্ছে পুলিশ প্রশাসনের তরফে। নেটিজেনদের মতে, ওই যুবক একপ্রকার উন্মাদ। মানসিক বিকৃতির ফলেই এই ধরনের ঘটনা তাঁর পক্ষে ঘটানো সম্ভব বলে ধারণা করা হচ্ছে। শুধুমাত্র ভাইরাল হওয়ার আশায় কোনো মানুষ কীভাবে এই ধরনের একটা পদক্ষেপ নিতে পারেন তা সত্যিই অনেকের ভাবনার অতীত।