সব খবর সরাসরি পড়তে আমাদের WhatsApp  Telegram  Facebook Group যুক্ত হতে ক্লিক করুন

বিশ্বের বৃহত্তম কামান, মা’ত্র একবার ব্যবহার হ’য়ে’ছে! কোথায় আ’ছে এটি?

কামানের ব্যবহার জোরকদমে শুরু হয় মধ্যযুগ থেকে। সেই সময় অর্থাৎ দ্বাদশ শতকে যুদ্ধের সময় শত্রুদের দমন করার জন্য তরবারির পাশাপাশি লোহা বা অন্য ধাতুর তৈরি কামান ব্যাপক মাত্রায় ব্যবহার করা হত। সেই যুগে এটি ছিল সবচেয়ে মারাত্মক অস্ত্র।

কারণ এটির প্রভাবে কোনো জায়গা ধ্বংসস্তূপে পরিণত হতে বেশি সময় লাগত না। সম্প্রতি, ভারতের অনুরূপ একটি কামানের খোঁজ পাওয়া গেছে যা ৪০০ বছরে একবার গোলা দাগে।

কিন্তু, এটি যখন প্রথম ব্যবহার করা হয় তখন কোনো যুদ্ধক্ষেত্রে এর ব্যবহার হয়নি, একটি আস্ত পুকুর নির্মাণের ক্ষেত্রে ব্যবহৃত করা হয়েছিল। কামানের প্রথম ব্যবহার শুরু হয় ইউরোপে ১৩১৩ খ্রিস্টাব্দে।

আরো পড়ুন: দোলের ছুটিতে স’ব রেকর্ড ভে’ঙে চুরমার, রাজ্যে ম’দ বি’ক্রি হলো ২০০ কো’টি’র

পানিপথের প্রথম যুদ্ধে সর্বপ্রথম কামান ব্যবহার করেছিলেন বাবর। ১৭২০ খ্রিস্টাব্দে জয়পুর দুর্গের প্রশাসক রাজা জয় সিং সেই স্থানের নিরাপত্তার জন্য নিজ হাতে নির্মান করে যে কামান স্থাপন করেছিলেন তা বিশ্বের বৃহত্তম কামানের মর্যাদা প্রাপ্ত। এখনও পর্যন্ত জয়পুরের দুর্গে এই কামানটি রাখা রয়েছে।

আজকের প্রতি বেদনে যে কামান নিয়ে আলোচনা চলছে সে প্রসঙ্গে বলা হয়, এই অস্ত্রটি দশেরার দিন পূজা করা হয়। কারণ এটি একবার পরীক্ষা করার জন্য একটি গুলি ছাড়া হয়েছিল।

সেই গুলি ৩৫ কিলোমিটার দূরে চাকসু নামক একটি শহরে পড়লে সেই স্থানে নির্মিত হয় এক বড় পুকুর। এমনকি এখনও পর্যন্ত এই পুকুরের জল দৈনন্দিন কাজের জন্য ব্যবহার করেন।

এই কারখানায় আরো অনেক কামান রয়েছে ঠিকই, তবে এই কামানটি কখনো যুদ্ধক্ষেত্র ব্যবহৃত হয়নি, এমনকি দুর্গ থেকে বের হয়নি। এটির ওজন প্রায় ৫০টন। সাড়ে চার ফুট ব্যাস বিশিষ্ট দুই চাকার গাড়ির সাহায্যে এই কামানটি রাখা হয়েছে।

সঙ্গে ৯ফুট বিশিষ্ট আরও দুটি অতিরিক্ত চাকা বসানো রয়েছে। এর ব্যারেলের দৈর্ঘ্য ৬.১৪ মি, ব্যাস ১.১ ইঞ্চি এবং প্রান্তে বেড়ালের পুরুত্ব ৮.৫ ইঞ্চি। তবে বর্তমানে এটি একটি বিশেষ ছাঁচের ঢালাই করা রয়েছে।