দেশের সবচেয়ে ধনী ব্যক্তি মুকেশ অম্বানি। ব্লুমবার্গ বিলিয়নিয়ার ইনডেক্স অনুযায়ী, বিশ্বের ধনীতম ব্যক্তিদের মধ্যে ১১ তম স্থানে রয়েছেন ভারতের এই বিত্তবান পুরুষ। রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড-এর কর্নধার হলেন মুকেশ আম্বানি। মুকেশ আম্বানির স্ত্রী নীতা আম্বানিকে অনেকেই চেনেন। ১৯৮৫ সালে মুকেশ আম্বানির সাথে সাত পাকে বাধা পড়েন নীতা আম্বানি। বলাবাহুল্য, ভারতের সবচেয়ে ধনী পরিবারেই বিয়ে হয়েছে নীতা আম্বানির। তাই ধনসম্পত্তির কোনো অভাবই নেই না তাঁর জীবনে।
পয়লা নভেম্বর এক মধ্যবিত্ত গুজরাতি পরিবারে জন্ম গ্রহণ করেছিলেন নীতা৷ গতকালই তাঁর জন্মদিন ছিল। সেই মেয়েটাই আজ দেশের সবচেয়ে ধনী ব্যক্তির স্ত্রী৷ তাই স্বভাবতই তাঁর বিলাসবহুল জীবনযাত্রার সাথে আমাদের মতো সাধারণের জীবনযাত্রার যে কোনো মিলই থাকবে না তা বলাই যায়। আজকের প্রতিবেদনে তাঁর এই বিলাসবহুল জীবনযাত্রার এক ঝলক বর্ণিত হতে চলেছে।
আম্বানি পরিবারের রানী অর্থাৎ নীতা আম্বানির আলমারি যে সোনা, দানা, হীরে, মাণিক ইত্যাদিতেই ভরা থাকবে সেই আন্দাজ নিশ্চয়ই আছে আপনাদের। তাঁর আলমারিতে মনিমাণিক্য আর শাড়ির কালেকশন দেখলে আপনার চোখ কপালে উঠবেই উঠবে। একেকটা চোখ ধাঁধানো গয়নার কালেকশন। কিন্তু জানেন কি! সেসব তিনি একবারের বেশি দুবার পরেন না। এছাড়াও তাঁর লাখ লাখ টাকার শাড়ি রয়েছে। ছেলের বিয়ের সময় নীতা যে শাড়িটি পরেছিলেন তার দাম প্রায় ৪০ লাখ টাকা।
এছাড়াও নীতা আম্বানি যে জল পান করেন তাও আসে সুদূর ফ্রান্স থেকে। সোনার বোতালে স্বর্ণভস্ম মেশানো এই জলের বোতলের দামও অনেক। ৭৫০ মিলিলিটারের জলের দাম প্রায় ৬০ হাজার ডলার। যা ভারতীয় মুদ্রায় ৪৪ লক্ষ টাকারও বেশি। নীতা আম্বানি যে কাপে চা পান করেন তাও সোনার তৈরি৷ কোনো এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছিলেন, সোনার কাপে চা খেলে নাকি স্বাস্থ্য এবং ত্বক দুইই ভালো থাকে৷ এছাড়াও সূত্রের খবর, তাঁর চায়ের পাতা খুবই দামী এবং বাইরে থেকে আসে। চায়ের দাম ৩ লাখ টাকার কাছাকাছি।