বহু বছর আগে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে মাত্র ৫-৬ বছর বয়সী শিশুরা বিদ্যালয় যেত। কিন্তু বর্তমানে দু’বছরের গণ্ডি পার হতে না হতেই বাবা মায়েরা তাদের শিশুদের বিদ্যালয় পাঠিয়ে দেন। স্বাভাবিকভাবেই কমে যায় খেলার সময়।
এই বিষয় নিয়ে বহুবার নানান গবেষণা হয়েছে। এত কম বয়সে স্কুলের পরিবেশ শিশুদের উপর মানসিক চাপ সৃষ্টি করে এবং এটি শিশুদের স্বাস্থ্যের পক্ষে ক্ষতিকারক, এবার এমনটাই সরাসরি জানালো সুপ্রিম কোর্ট।
সুপ্রিম কোর্ট এবার শিশুদের স্কুলে পড়া নিয়ে বর্তমানে অভিভাবকদের মধ্যে যে উদ্বেগ তৈরি হয়েছে সেই বিষয়ে এবার কড়া ব্যবস্থা নিতে চলেছে। উচ্চ আদালত সরাসরি জানিয়ে দিয়েছে শিশুদের মানসিক স্বাস্থ্যের দিক থেকে কখনই তাদেরকে অনেক কম বয়সে স্কুলে পাঠানো ঠিক নয়।
বিশেষ করে, যে অভিভাবকরা মাত্র দু বছর বয়সেই তাদের শিশুদের স্কুলে পাঠিয়ে দেন, সে ক্ষেত্রে বেশিরভাগ শিশুর স্বাস্থ্যের ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এমনটাই মন্তব্য করেছে বিচারপতি সঞ্জয় কিষাণ কৌল এবং এমএম সুন্দরেশের বেঞ্চ।
যখন বেঞ্চ আসন্ন শিক্ষাবর্ষের জন্য কেন্দ্রীয় বিদ্যালয়ে প্রথম শ্রেণিতে ভর্তির জন্য ছয় বছরের ন্যূনতম বয়সের মানদণ্ডকে চ্যালেঞ্জ করে অভিভাবকদের আবেদনের শুনানি করছিল।
কেন্দ্রীয় বিদ্যালয় সংগঠন ২০২২ সালের মার্চ মাসে ভর্তি প্রক্রিয়ার আগেই ক্লাস ওয়ান থেকে ভর্তির জন্য ছয় বছর বয়সে মানদণ্ড হিসেবে সামনে রাখে।
এই বিষয়ে অভিভাবকরা দিল্লি হাইকোর্টে আবেদন। করেন কিন্তু দিল্লি হাইকোর্ট থেকে শেষ পর্যন্ত জল গড়ায় সুপ্রিম কোর্ট পর্যন্ত। আগের নিয়ম ছিল পাঁচ বছর।
আদালতে তরফ থেকে এই বিষয়ে বলা হয়েছে কোন বয়সের শিশুদের স্কুলে পাঠানো হবে এই বিষয়ে এর আগে বহু সমীক্ষা করা হয়েছে। যেখানে দেখা গিয়েছে, বাচ্চাদের স্কুলে পাঠাতে বাধ্য করা হলে তাদের স্বাস্থ্যের উপর গভীর প্রভাব পড়ে।