সামনে কালীপুজো। কালী পূজা উপলক্ষে গোটা বাংলা মেতে উঠবে উৎসবে। বাংলার বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে বহু পুরাতন কালী মন্দির। সে কালীমন্দিরে এখন থেকেই চলছে পূজার প্রস্তুতি। মানিকোড়াতেও চলছে দেবীর আরাধনার প্রস্তুতি। এই দেবী আবার ভীষণভাবে জাগ্রত। এক সময় ডাকাতদের হাতে পূজিতা হতেন মানিকোড়া কালী।
শোনা যায় এখনো পুঁষজো দেওয়ার সময় নাকি নড়ে ওঠে কালীমূর্তি। বিশেষত চক্ষুদান এবং পাঠা বলি দেওয়ার সময় দেবী মূর্তি নাকি সামনের দিকে ঝুঁকে পড়ে। যে কারণে শিকল দিয়ে বেঁধে রাখতে হয় মূর্তি। আজ অবশ্য চক্ষুদানের সময় এবং পাঠাবলির সময় দেবীর চোখ বেঁধে রাখা হয়। একটা সময় ছিল যখন নাকি রাতবিরেতে দেবী নড়ে উঠতেন।
কথিত আছে কোনও একসময় গ্রামে শাঁখা ফেরি করতে এসেছিলেন এক শাঁখারী। তার কাছে শাঁখা পরতে চেয়েছিলেন একটি মেয়ে। তিনি বলেন তার কাছে কোনো টাকা নেই। শাঁখার দাম মন্দিরের সেবায়েত দেবেন। কারণ তিনিই তার বাবা। এরপর মন্দিরের সেবায়েতের কাছে টাকা চাইলে তিনি বলেন তার তো কোনও মেয়ে নেই। তাহলে শাখা পড়তে চাইছে কে?
তিনি ছুটে এসে পুকুর পাড়ে দেখেন এক মেয়ে জলের ওপর দুটি হাত উঁচু করে রয়েছে। তার হাতে রয়েছে দুটি শাঁখা। সেবায়েত বুঝে যান স্বয়ং মা কালীই এসেছিলেন। এরপর তিনি শাঁখার দাম মিটিয়ে দেন। এই কাহিনী আজও মানুষের মুখে মুখে ফেরে।