সব খবর সরাসরি পড়তে আমাদের WhatsApp  Telegram  Facebook Group যুক্ত হতে ক্লিক করুন

ছেলে কে’ন্দ্রী’য় ম’ন্ত্রী, তবুও মা-বাবা এ’খ’নও ক’র’ছে’ন কৃষিকাজ

কেন্দ্রীয় সরকারের নতুন মন্ত্রিসভায় জায়গা করে নিয়েছেন এল মুরুগন। বর্তমানে তিনি কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হিসেবে তার মাইনে এবং অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা নেহাত কিছু কম নয়। তবুও তার বাবা-মা এখনো মাঠে গিয়ে চাষবাস করেন। ছেলে এক মাস আগেই কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হয়েছে। কিন্তু মাটির সঙ্গে তাদের সম্পর্ক বিচ্ছিন্ন হয়নি। তাইতো আজো কাঁধে লাঙ্গল তুলে নিয়ে সকাল সকাল মাঠের উদ্দেশ্যে বেরিয়ে পড়েন বৃদ্ধ বাবা-মা।

৫৯ বছর বয়সী বরুদম্মল এবং তার ৬৮ বছর বয়সী স্বামী লোগনাথন একসঙ্গে চাষবাসের কাজ করেন। জানলে হয়তো অবাক হবেন, এরা যে জমিতে কাজ করছেন, সেই জমি তাদের নিজস্ব নয়। অন্যের জমিতে কাজ করে চলেছেন তারা। এ সম্পর্কে সংবাদমাধ্যমের প্রশ্নের মুখোমুখি হলে তারা বলে ওঠেন, ‘ছেলে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হয়েছে তো কি হয়েছে? আমাদের ছেলে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সরকারের মন্ত্রী হয়েছে, তাতে আমরা গর্বিত। তবে তার জন্য আমরা শ্রেয় চাইনা।’

ওই বৃদ্ধ দম্পতি মনে করেন, তাদের ছেলে আর যা কিছু হতে পেরেছে, সবটাই তার নিজের চেষ্টায়। ছেলের কেরিয়ার গঠনের জন্য তারা কিছুই করেননি বলে স্পষ্ট স্বীকার করে নেন। দলিত সম্প্রদায়ের অন্তর্ভুক্ত এই বৃদ্ধ এবং বৃদ্ধা আজও ঝুপড়ি বাড়িতে বসবাস করেন। কখনো কুলির কাজ করে, কখনো বা চাষাবাদ করে কোনরকমে কষ্টে-সৃষ্টে দিন চলে তাদের। তারা কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর মা-বাবা, তবুও তাদের কাছে যেন তা গুরুত্বহীন।

যখন তারা জানতে পারেন তাদের ছেলে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হয়েছে, সেই সময়েও তারা মাঠেই কাজ করছিলেন। প্রতিবেশীর মুখ থেকে সুসংবাদটি পান তারা। ২০০০ সালের মার্চ মাসে মুরুগন তামিলনাড়ুতে বিজেপির রাজ্য সভাপতি হিসেবে নিযুক্ত হয়েছিলেন। ছেলের এই সাফল্যে নিঃসন্দেহে মা-বাবা খুব খুশি হয়েছিলেন। তবে তারা তাদের জীবনযাত্রার মান পরিবর্তন করতে চাননি। চাষাবাদ করেই অর্থ উপার্জনের জীবিকা তারা ত্যাগ করতে চাননি।