সব খবর সরাসরি পড়তে আমাদের WhatsApp  Telegram  Facebook Group যুক্ত হতে ক্লিক করুন

ভাঙড়ে বালিকা বিদ্যালয়ে ঢু’কেই শিক্ষিকাদের ধ’ম’ক, নতুন আরাবুলকে নিয়ে চি’ন্তা’য় স্কুল কর্তৃপক্ষ

ছবি ও তথ্য: টিভি ৯ বাংলা

পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগেই বারবার শাসক দল তৃণমূলের নানান রকম দুর্নীতির ছবি প্রকাশ্যে আসছে। কোথাও আবাস যোজনার জন্য বিপুল পরিমাণ টাকা দাবি আবার কোথাও চাকরির জন্য টাকা আত্মসাৎ। প্রতিদিন একের পর এক দুর্নীতির পাতা উন্মোচিত হচ্ছে। এবার দক্ষিণ ২৪ পরগনার ভাঙ্গড় বালিকা বিদ্যালয় ঢুকে দাদাগিরি দেখালেন এক তৃণমূল নেতা।

স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা এবং অন্যান্য শিক্ষিকারা কেন ক্লাস নিচ্ছেন না কেন রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে বদনাম করছেন সেই দাবি-দাওয়া নিয়ে তৃণমূল নেতা ছুটে আসেন স্কুলে। বিনা অনুমতিতে দলবল নিয়ে তিনি ছুটে এসেছিলেন। মঙ্গলবার দুপুরে ঘটনাটি ঘটেছে ভাঙ্গর উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়। আতঙ্কিত স্কুল পড়ুয়ারা সহ শিক্ষক শিক্ষিকারা।

স্থানীয় সূত্রে খবর রাজ্য সরকারের তিন শতাংশ হারে মহার্ঘ ভাতা বাড়ানোর প্রতিবাদে রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের দুই দিনের কর্মবিরতি চলছে। ভাঙ্গর হাই স্কুল ও ভাঙ্গড় বালিকা বিদ্যালয় ছাত্রছাত্রীরা এই কর্ম বিরতিতে যোগদান করেছেন। এরপরে ক্লাস হচ্ছে না।

আরো খবর: রবিনা ট্যান্ডনের কন্যার কাছে ফি’কে হয়ে যা’বে সারা-জাহ্নবী! দেখুন Album

আর তার কারণেই স্কুল সময়ের মধ্যে এলাকার দাপুঁটে তৃণমূল নেতা ও ভাঙ্গর বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সম্পাদক তাদের ১৫ জন অনুগামী নিয়ে বালিকা বিদ্যালয়ের ভেতর ঢুকে পড়েন। এসেই রীতিমত ধমকানো শুরু করে দেন বলে অভিযোগ।

এই ঘটনায় অত্যন্ত ক্ষুব্ধ ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা সন্ধ্যা মন্ডল তিনি বলেন বাইরের কেউ বালিকা বিদ্যালয় ঢুকতে গেলে আগে পরামর্শ নিতে হয়। স্কুলের মধ্যে এসে রীতিমতো শাসাতে শুরু করে ওরা।

এদিকে এই ঘটনায় সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করে তৃণমূল নেতা সাবিরুল ইসলাম বলেন আমি তৃণমূল নেতা হিসেবে ওই স্কুলে যায়নি একজন অভিভাবক হিসেবে গিয়েছিলাম আমার মেয়ে ওই স্কুলে পড়ে কেন দুইদিন ধরে পড়াশোনা হচ্ছে না সেই ব্যাপারে জানতে গেছিলাম।

আর এই ঘটনায় শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা। এটাই তৃণমূলের সংস্কৃতি ওরা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান মানে না দাবি ভাঙ্গরের শহর বিজেপির।