সব খবর সরাসরি পড়তে আমাদের WhatsApp  Telegram  Facebook Group যুক্ত হতে ক্লিক করুন

বদলির নি’য়’ম মানতেই হবে, নি’র্দে’শ না মানলেই চাকরিতে ছে’দ, পর্যবেক্ষণ বিচারপতির

কিছুদিন আগে ছাত্রছাত্রীর সংখ্যা কম থাকা প্রাইমারি, আপার প্রাইমার, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক স্তরের ৮২o৭ টি স্কুল বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল রাজ্য সরকার। এইসব স্কুল থেকে শিক্ষকদের অন্যত্র বদলি করার পরিকল্পনাও রয়েছে সরকারের। শহরের যেসব স্কুলের ছাত্র সংখ্যা অত্যন্ত কম সেখানের শিক্ষকদের আশেপাশের গ্রামের স্কুলের বদলি আবশ্যিক করছে রাজ্য সরকার।

এর আগে উৎসশ্রী পোর্টালের মাধ্যমে ‘‌সাধারণ বদলি’‌ বা তার আগে ‘‌বিশেষ বদলি’‌র মাধ্যমে গ্রামের স্কুলগুলি ছেড়ে শহরের স্কুলগুলিতে বদলি নিতে শুরু করেছিলেন শিক্ষক–শিক্ষিকাদের একটা বড় অংশ।ফলে একদিকে যেমন গ্রামের স্কুল গুলিতে শিক্ষকের সংখ্যা হ্রাস পায়,তেমনই শহরের স্কুলগুলোতে শিক্ষকের সংখ্যা বৃদ্ধি পায়।

এর প্রেক্ষিতে কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশকে হাতিয়ার করে এইসব শিক্ষকদের আবার গ্রামমুখী করতে উদ্যোগী হয়েছে রাজ্য সরকার।যে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে ছাত্র-ছাত্রীর সংখ্যা বেশি, কিন্তু শিক্ষকের সংখ্যা কম , সেগুলিতে ওই শিক্ষকদের বদলি করা হবে।

আরো খবর: WBSETCL: প্রচুর শূন্যপদে নি’য়ো’গ শীঘ্রই, যো’গ্য’তা ও বে’ত’ন সম্পর্কে জানুন

শিক্ষক বদলি মামলার শুনানিতে বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু বলেন ,যে স্কুল গুলিতে পড়ুয়া সংখ্যা কম সেগুলিকে বড় স্কুলের সঙ্গে মিলিয়ে দেওয়ার পক্ষে সওয়াল করেন । তিনি আরও বলেছেন যে কোনও শিক্ষক বদলিতে যেতে না চান তাহলে তাঁকে বরখাস্ত করার অধিকারও পর্ষদের হাতে রয়েছে।

এই নতুন নতুন নিয়মের বিরোধিতা করে হাই কোর্টে মামলা করেন শর্মিষ্ঠা চন্দ্র-সহ কয়েক জন শিক্ষক। তাঁদের দাবি,” নতুন নিয়মে বদলির পদ্ধতি সঠিক নয়। চাকরি দেওয়ার সময় পছন্দসই স্কুল বেছে নিতে বলা হয়। কিন্তু এখন অন্যত্র বদলি করা হচ্ছে। এতে প্রচন্ড অসুবিধার সম্মুখীন হচ্ছেন শিক্ষকরা।”

বদলির নিয়ম না মানলে চাকরি জীবনে ছেদ পড়বে শিক্ষকদের। সম্প্রতি বদলির নতুন নিয়মের বিরুদ্ধে নিয়ে প্রচুর অভিযোগ হাই কোর্টে দায়ের হয়েছে। আগামী বুধবার এই মামলার পরবর্তী শুনানি হবে।এই শুনানিতে রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেল (এজি)- উপস্থিত থাকবে।