জাতীয় নিরাপত্তার ক্ষেত্রে বড়সড় হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে মায়ানমার থেকে আগত রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশকারীরা। এই অনুপ্রবেশকারীদের মধ্যে অনেকেই ইতিমধ্যে সন্ত্রাসবাদি কার্যকলাপের সঙ্গে জড়িয়ে পড়েছে। জঙ্গী সংগঠনের সঙ্গে এদের একাংশের যোগাযোগ রয়েছে। বুধবার রাজ্যসভায় দাঁড়িয়ে সংসদে এমনই আশঙ্কা প্রকাশ করলো কেন্দ্রীয় সরকার। মায়ানমার থেকে পালিয়ে আসা এই সংখ্যালঘু সম্প্রদায় দেশের জন্য বড়োসড়ো মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে বলে আশঙ্কা কেন্দ্রীয় সরকারের।
প্রসঙ্গত এদিন রাজ্যসভায় রোহিঙ্গা ইস্যু উত্থাপন করে বিরোধীরা। রাজ্যসভায় প্রশ্ন ওঠে, দেশে রোহিঙ্গাদের উপস্থিতি ভবিষ্যতে জাতীয় নিরাপত্তার ক্ষেত্রে বিপদের কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে কিনা। ভারতে রোহিঙ্গাদের পুনর্বাসন জাতীয় নিরাপত্তায় উপর প্রভাব ফেলবে কিনা কেন্দ্রের কাছে তা জানতে চায় সংসদ। উত্তরে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের প্রতিমন্ত্রী নিত্যানন্দ রাই লিখিতভাবে জানিয়ে দেন, ভারতে রোহিঙ্গাদের উপস্থিতি জাতীয় নিরাপত্তার ক্ষেত্রে বড় হুমকি!
এদিন কেন্দ্র কার্যত এই লিখিত বয়ান মারফত সংসদে স্পষ্ট করে দিয়েছে যে রোহিঙ্গাদের এই দেশে জায়গা দেওয়া হবে না। কারণ এতে সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপে মদত দেওয়া হবে। বাংলাদেশি জঙ্গি সংগঠন জামাত-উল-মুজাহিদিনের মতো জঙ্গি সংগঠনের সঙ্গে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের একাংশের যোগাযোগ রয়েছে বলে জানিয়েছে কেন্দ্র। রাজধানী দিল্লিসহ দেশের বিভিন্ন রাজ্যে শরণার্থী শিবিরে ৪০ হাজার রোহিঙ্গা রয়েছেন।
কেন্দ্রের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, মায়ানমার থেকে আগত এই রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ কারীদের দ্রুত তাদের দেশে ফেরত পাঠানো হবে। একাধিক বিরোধী দল ও মুসলিম সংগঠনগুলি রোহিঙ্গাদের ভারতে আশ্রয় দেওয়ার দাবি তুলেছে। কেন্দ্রীয় সরকার জানিয়েছে গোয়েন্দা বিভাগ সূত্রে খবর পাওয়া গিয়েছে বাংলাদেশ থেকে পশ্চিমবঙ্গ হয়ে জম্মু, দিল্লি, হায়দরাবাদ, মুম্বইয়ের মতো শহরে গিয়ে বেনামে গা-ঢাকা দিত রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশকারীরা।
