রাজ্যে ভোট পরবর্তী হিংসা মামলায় ইতিমধ্যেই আদালতের দ্বারস্থ হয়েছে মানবাধিকার কমিশন। মানবাধিকার কমিশনের দাবিতে একদিকে যেমন রাজ্যে ভোট পরবর্তী হিংসার কথা উঠেছে, অপরদিকে তেমনই হিংসা প্রতিরোধ করতে পুলিশের নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগও উঠছে। পুলিশের বিরুদ্ধে অভিযোগ নিয়ে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছে মানবাধিকার কমিশন। তাদের দাবি, রাজ্যে হিংসার ঘটনা ক্রমাগত বেড়েই চলেছে, অথচ পুলিশ নিষ্ক্রিয় ভূমিকা পালন করছে।
পুলিশের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগ দায়ের করার পাশাপাশি আরো একটি বিষয়ের উপর আদালতের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে মানবাধিকার কমিশন। কমিশনের অভিযোগ, রাতে যে সকল এলাকায় জনঘনত্ব বেশি, সেখানে পর্যাপ্ত পুলিশকর্মী নেই। পুলিশকর্মীদের বদলে থানা সামলাচ্ছে সিভিক ভলেন্টিয়াররা। অথচ এই সিভিক ভলেন্টিয়ারদের সেভাবে প্রশিক্ষণ নেই, এদের বেতন ১০ হাজারেরও কম। তাদের উপরেই রয়েছে প্রশাসনের দায়িত্ব!
যদিও স্থানীয় বাসিন্দা হওয়ার কারণে এলাকার খবর তাদের কাছে বেশ ভালোমতোই থাকে। তবে পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার মতো ক্ষমতা তাদের নেই। বেশ কিছু ক্ষেত্রের উদাহরণ টেনে মানবাধিকার কমিশন আদালতে যে প্রমাণ পেশ করেছে তাতে দেখা যাচ্ছে বেশকিছু থানায় সর্বসাকুল্যে যেখানে ১৬ জন মহিলা ও পুরুষ পুলিশ কনস্টেবল রয়েছেন, সেখানে সিভিক ভলেন্টিয়ারের সংখ্যা প্রায় ১৭০ জন!
যদিও সিভিক পুলিশরাও বেশ কিছু ক্ষেত্রে বেশ ভালোই ভূমিকা গ্রহণ করেছে বলে জানা যাচ্ছে। তবে সেই সকল ক্ষেত্রে শাসক দলের সদস্যরাই উপকৃত হয়েছেন। অপরাধমূলক কার্যকলাপের সঙ্গে জড়িত, তবুও সরকারি আধিকারিক হিসেবে চাকরি করছেন, এমন নজির রয়েছে অনেক। এ সম্পর্কে মহম্মদ আলম নামের ফালতা থানার এক সিভিক ভলেন্টিয়ারের নাম উল্লেখ করা হয়েছে, যাকে এলাকার সকলে কুখ্যাত দুষ্কৃতী হিসেবে জানেন।