চিংড়ি খেতে অনেকেই ভালোবাসেন। কি ঠিক বললাম তো!! তার উপর দুপুরের লাঞ্চই হোক কিংবা রাতের ডিনার- যদি পাতে থাকে ডাব চিংড়ি তাহলে খাওয়াটা পুরো জমে যায় একেবারে।চিংড়ি-প্রেমীদের অত্যন্ত পছন্দের ডিশ এই ডাব চিংড়ি। তবে অনেকেই এই ডিশ বাড়িতে বানাতে বেশ চিন্তিত হয়ে পড়েন। কেউ কেউ আবার ভয়ও পান এই ভেবে যে , রেস্তোরাঁর মতো স্বাদ বুঝি আনতে পারবেন না ! কিন্তু, সেটা এক্কেবারেই আপনার ভুল ধারণা। বরং, সঠিকভাবে বানাতে পারলে আপনার বানানো ডাব চিংড়ির কাছে মাথা নত করতে বাধ্য হবে বড় বড় রেস্তোরাঁও। দেখে নেওয়া যাক রেসিপিটা
১) উপকরণ:
বড় আকারের চিংড়ি মাছ (৫-৭টি), কচি ডাবের শাঁস বের করে ডাবের জল দিয়ে বেটে নিন (১টি), সরষের তেল (২ টেবিল চামচ), পেঁয়াজ বাটা (১/২ কাপ), আদা-রসুনবাটা (১ টেবিলচামচ), নারকেলের দুধ (১/২ কাপ), উষ্ণ জল (১/২ কাপ), গরমমশলার গুঁড়ো (১ চা চামচ), চিনি (1 চা চামচ), নুন (স্বাদ অনুযায়ী), ভালো ঘি (২ টেবিল চামচ)
২) পদ্ধতি:
যেহেতু এই রান্নায় ডাবের একটি মুখ্য ভূমিকা আছে তাই ডাবটিকে সঠিকভাবে কেটে নেওয়া খুব জরুরি। প্রথমে মাথার দিকটা কেটে নিন। এবার একটা বড় গোল গর্ত করে শাস ও জল বের করে নিন। নীচ দিকটা কেটে নিলে গোটা ডাবের ভিতর বসিয়েই চিংড়ি পরিবেশন করতে পারবেন।
এবার গ্যাসে কড়া চাপান। গরম হয়ে এলে তেল দিন ও তেল গরম হলে তাতে পেঁয়াজ বাটা দিয়ে দিন। মিনিট দু’য়েক পেঁয়াজটা ভালো করে ভেজে নিন যাতে কাঁচা গন্ধটা চলে যায়। এবার কড়াইতে চিংড়ি মাছ ছাড়ুন। মশলার সঙ্গে ভালো করে কষান । মাছের গায়ে গোলাপি রং ধরলে আদা-রসুন বাটা দিন। সঙ্গে গরমমশলা, সমপরিমাণ নুন-চিনি দিয়ে পুনরায় কষাতে থাকুন। সমস্ত মশলা কষা হয়ে গেলে নারকেলের দুধ আর গরম জলটা ঢেলে দিন।
তারপর ভালো করে ফুটতে দিন। পাত্রটি ঢাকা দিয়ে রেখে দিন আরও ৫-৭ মিনিট। জল টেনে এলে বেটে রাখা নারকেলের শাস দিন। একটু ফুটে উঠলে সবশেষে ঘি ও গরম মশলা ছড়িয়ে নামিয়ে নিন। সাবধানে নারকেলের খোলের মধ্যে প্রথমে কিছুটা মশলা ঢালুন। তারপর ওপরে চিংড়ি মাছ দিয়ে আবার কিছুটা মশলা দিন। ইচ্ছে মতো সাজিয়ে গরম গরম ভাত অথবা পোলাও- এর সাথে পরিবেশন করুন। আর বাড়ির সকলকে তাক লাগিয়ে দিন।