সব খবর সরাসরি পড়তে আমাদের WhatsApp  Telegram  Facebook Group যুক্ত হতে ক্লিক করুন

চে’হা’রা নিয়ে আশপাশের লোকজন ক’টা’ক্ষ করে? চাণক্যর শ্লো’কে উত্তর দিন

বডি শেমিং অথবা রূপ নিয়ে কটাক্ষ করেন আমাদের নিজেদের ঘনিষ্ট ব্যক্তিরাই। আত্মীয়-স্বজন হোক অথবা পাড়া-প্রতিবেশী, কটাক্ষ করতে ছাড়েন না কেউ। তবে রুপ তো কারোর সমান হয় না আর চিরকাল তা স্থির বা স্থায়ী থাকে না। তারপরেও এই কটাকে স্বীকার হতে হয় সকলকেই। অনেকেই হয়তো পরামর্শ দেবেন উপেক্ষা করতে কিন্তু সবসময় উপেক্ষা করলে চলেনা। মাঝে মাঝে যোগ্য জবাব দেবার প্রয়োজন আছে। আর কিভাবে আপনি যোগ্য জবাব দেবেন সেটাই শিখিয়ে দিয়েছে চাণক্য।

তিনি তার শ্লোকের মাধ্যমে বুঝিয়ে দিয়েছেন যে রূপ নিয়ে এই ধরনের কটাক্ষের প্রকৃত জবাব কি হতে পারে। চাণক্যটা তাঁর শ্লোকে জানিয়েছেন,কোকিলানাং স্বরো রূপং, নারী রূপং পতিব্রতম। বিদ্যা রুপং কুরূপানাং, ক্ষমা রূপং তপস্বীনাম।’

এই কথার অর্থ হল, কোকিলের কণ্ঠস্বর হলো তার রূপ। নারীর রূপ হলো পতিব্রতা হওয়া। কূরুপ ব্যক্তিত্বেদের ক্ষেত্রে বিদ্যাই হল রুপ। তপশীদের ক্ষেত্রে রূপ হলো ক্ষমা। গোটা বিশ্ব শুধু দেহ সর্বস্ব নয় অথবা দেহরূপ সর্বস্ব নয়।

আরো পড়ুন: ঐন্দ্রিলার চোখের পাতা ন’ড়’ছে না, শ’রী’র পু’রো অসাড়! এখন কেমন আছেন?

রূপের অর্থ বিভিন্ন জনের কাছে বিভিন্ন রকম। যার যেটা গুন তার কাছে সেটাই রূপ। দেহরুপের পাশাপাশি সেইরূপকে কোনমতে অস্বীকার করা যায় না। তাই নন্দ বংশের সম্রাট ধননন্দ চাণক্যে যখন অপমান করেছিলেন তার রূপের কারণে, সেই প্রতিশোধ তৈরি করার জন্য চাণক্য তৈরি করেছিলেন চন্দ্রগুপ্ত মৌর্যকে।

রূপের প্রতি কটাক্ষের জবাব দিতে বেশ সচেতন ছিলেন চাণক্য। তিনি সর্বদা তার নীতি বাক্যে বাহ্যিক রূপের থেকে অভ্যন্তরীণ রূপকে বেশি গুরুত্ব দেওয়ার কথা বলেছিলেন। আর এই রূপের মধ্যে বিদ্যাকেই সবথেকে বেশি গুরুত্ব দিয়েছেন চাণক্য।