গোটা রাজ্যে করোনার সংক্রমণ দ্রুত গতিতে বেড়ে যাওয়ার জন্য সরকারের পক্ষ থেকে আংশিক লকডাউন চালু করা হয়েছে, যেখানে ৫০% কর্মী নিয়ে কাজ এবং ট্রেনের সময়সীমা কিছুটা কমিয়ে দেওয়া হয়েছে। তবে লোকাল ট্রেনের সংখ্যা কমিয়ে দেওয়ার জন্য করোনা সংক্রান্ত বিধি নিষেধ তৈরি করার শুরুর দিনেই মর্মান্তিক দুর্ঘটনার সাক্ষী হলো ডানকুনি। লোকাল ট্রেনে বিয়ের চাপের জন্য ট্রেন থেকে ছিটকে পড়ে মৃত্যু হল এক ব্যক্তির। ওই ব্যক্তির নাম চন্দন প্রচন্ড, বয়স ৫৫ বছর তিনি পশ্চিম মেদিনীপুর চন্দ্রকোনা বাসিন্দা। এই ঘটনাটি মঙ্গলবার সকালে ঘটে ডানকুনি বেলানগর রেললাইনের কাছে।
ওই ব্যক্তি ট্রেন থেকে পড়ে যাওয়ার পরে তাকে উদ্ধার করে নিয়ে যাওয়া হয় উত্তরপাড়া স্টেট জেনারেল হাসপাতালে কিন্তু ক্রমশই তাঁর শারীরিক অবস্থা আশঙ্কাজনক হয়ে যাওয়ার কারণে তাকে আরজিকর হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়, কিন্তু তারপরেও শেষ পর্যন্ত তাকে বাঁচানো গেল না, দুপুরে তার মৃত্যু হয়।
খবর সূত্রে জানা গেছে যে ওই ব্যক্তি এক আত্মীয়র বাড়ি এসেছিলেন ডানকুনিতে এবং সেখান থেকে আজ বাড়ি যাওয়ার জন্য ফিরছিলেন। এরকম একটি ঘটনা ঘটার পরও যাত্রীদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি তৈরি হয়। তাদের অভিযোগ যে এই রকম অবস্থায় ট্রেন কমিয়ে দেওয়ার কারণেই ভিড় হচ্ছে এবং যার কারণে ওই ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে।
ঘটনা প্রসঙ্গে যারা সহযাত্রী ছিলেন তাঁরা জানিয়েছেন, প্রচন্ড ভিড়ে চন্দন বাবু ট্রেনে উঠেছিলেন এবং গেটের কাছে তার পা ছিল কিন্তু শরীর ঝুলে ছিল তার ট্রেনের বাইরে, হাত দিয়ে শক্ত করে তার সাধ্যমত ধরে রেখেছিলেন ট্রেনের হাতল এরপরে পরের স্টেশন আসতেই ভিড়ের চাপে তার হাত ফসকে যায় এবং সেখান থেকে ট্রেন থেকে তিনি পড়ে যান।