সব খবর সরাসরি পড়তে আমাদের WhatsApp  Telegram  Facebook Group যুক্ত হতে ক্লিক করুন

দেশের একমাত্র রাজ্য যেখানে স্বামী হা’রা’নো’র শা’স্তি পায় নাবালিকা বধূরা! এখনো এই প্র’থা বিদ্য’মান

এখানে এখনো চলে আসছে মধ্যযুগীয় বর্বরতা। মেয়ের বয়স হবে 10 থেকে 12 তখনই পাত্রস্থ করবার জন্য উঠে পড়ে লাগে পরিবার। কখনো আবার 8 বয়স হলেই বাড়ি থেকে বিয়ের তোড়জোড় করা হয়।। 2023 সালে দাঁড়িয়েও এই একই প্রথা চলে আসছে রাজস্থানে। পালি, ভিলওয়ারা, রজসমন্দ প্রভৃতি জেলার প্রত্যন্ত গ্রামে এখনো মেয়েরা পরিবারের কাছে অভিশাপ।

বালিকা বধূ হয়ে যারা বাড়ি থেকে বের হয় বেশিরভাগই তারা কুমারী বিধবা হয়ে ফিরে আসে। এরপর তাদের জীবন হয়ে ওঠে নরক। বিধবা কন্যাকে 6 মাস কঠোর বিধি নিষেধের মধ্যে রাখা হয়। তার উপর চলে পাশবিক অত্যাচার। ছোট মেয়েদের স্বামী মারা যাওয়ার পর তাদের একটি ঘরের মধ্যে বন্দী করে রাখা হয়।

বছরের অর্ধেক সময় তারা সূর্যের আলো দেখতে পারেন না। এমনকি কারোর কোলের সন্তানকেও কেড়ে নেওয়া হয়। সূর্য উঠার আগে স্নান এবং প্রাতঃকর্ম সেরে নিতে হয়। দেওয়া হয় ভয়ংকর অপবাদ। স্বামীর মৃত্যুর জন্য নাকি দায়ী ওই মেয়েটি। হাজার হাজার মেয়ের জীবনে এটাই নাকি নিয়তি।

আরো খবর: পারদের ওঠানামা চ’ল’ছে রাজ্যজু’ড়ে, কেমন থাকবে আ’গা’মী কয়েকদিনের আবহাওয়া?

এখানেই থেমে থাকে না অত্যাচার। কোন কোন ক্ষেত্রে বিধবা কন্যাকে পণ্য হিসেবে বাজারে নিয়ে যাওয়া হয়। নিলামে বিক্রি করে দেওয়া হয়। যার বাড়িতে যায় ওই কন্যা তাকে দিয়ে বাড়ির সমস্ত কাজ করানো হয়। এমনকি উপপত্নী হিসেবে রাখা হয় মনিবের। কোন কোন ক্ষেত্রে মনিবের যৌ”’ন লা”লসা””র শিকার হতে হয়। অনিচ্ছা সত্ত্বেও করতে হয় সন্তান ধারণ।

যুগ বদলেছে পাতালে আকাশে সর্বত্র মেয়েরা গমন করছে কিন্তু তাতে কি। রাজস্থানের এই বর্বর নিয়মের কোন নড়চড় হয়নি। রাজস্থানে বাল্যবিবাহ এবং বর্বর প্রথার বিরুদ্ধে বারবার বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন মুখ খুলেছেন কিন্তু তাতেও কিছু লাভ হয়নি। গ্রামে প্রচলিত রয়েছে আরেক রীতি।

পরিবারে কোনো সদস্যের মৃত্যু হলে ওই দিনেই বাড়ির মেয়ের বিয়ে দিতে হয়। বাড়ির সদস্যের শেষকৃত্য এবং মেয়ের বিয়ে একই সময়ে সম্পন্ন হয়। অভিযোগ নিজের মেয়েকে মৃ’ত্যু’র মুখে ঠে’লে দিতে রাজি না হলেও গ্রামের মাতব্বরদের কথা শুনে বাবা-মাকেও এই প্রথা মেনে নিতে হয়।