সাপ মানেই এককথায় বাপরে বাপ! তাই সাপের সঙ্গে ছেলেখেলা নৈব নৈব চ। সাপকে ভয় পায় না এমন মানুষের সংখ্যা খুবই কম। বরং সাপের নাম শুনলেই গা শিউরে ওঠে। তবে এই পৃথিবীতে এমন কিছু মানুষ আছেন যাঁদের সাপের জন্যই রোজগার হয়, সংসার চলে৷ চিনের ঝোঝিয়াং প্রান্তে একটি গ্রাম রয়েছে।
সেখানে মানুষ বিষধর সাপ লালন ও পালন করেন ৷ শুধু তাই নয়, সেখানকার আরও একটি গ্রাম জিসিকিয়াও-তেও চোখে পড়েছে একই ঘটনা। এইসব গ্রামের মানুষদের প্রধান পেশা হল সাপ চাষ করা৷ এখানে মানুষ বছরে ৩০ লক্ষ সাপের চাষ করেন৷
তবে চিনে সাপের চাষের প্রথা আজকের নয়। আজ থেকে প্রায় ৪০ বছর আগে ১৯৮০ সালে এই গ্রামে প্রথমবার সাপের চাষ হয়েছিল বলে জানা যায়৷ এখানে বিষাক্ত সব সাপের চাষ করা হয় কারণ বিষাক্ত সাপের বিষ দিয়ে বিভিন্ন ওষুধ তৈরী হয়। ত্বকের সমস্যা থেকে শুরু করে ক্যান্সারের ওষুধও তৈরী হয় সাপের বিষ থেকেই।
আরো পড়ুন: চিতা ও চিতাবাঘের ম’ধ্যে কি কো’নো পা’র্থ’ক্য আছে? কি দে’খে চিনবেন?
জনবসতির ঘনত্বের নিরিখে বলা যেতে পারে এখানে প্রায় ১০০টি ফার্ম আছে৷ এই গ্রামে প্রায় ১,০০০ মানুষ সাপের চাষ করে জীবনযাপন করেন ৷ এখানে মানুষের প্রধান জীবিকাই হল এটি৷
কেউটে, অজগর-সহ বিষধর সাপের সঙ্গে এমন কিছু সাপ আছে যাদের বিষ নেই সেই সমস্ত সাপের চাষ করা হয়৷ গরমে সাপের বাচ্চার প্রতিপালন করা হয়ে থাকে এবং শীতে এদের সব আমেরিকা থেকে শুরু করে রাশিয়া, দক্ষিণ কোরিয়া, জার্মানি-সহ বিভিন্ন দেশে বিক্রি করে দেওয়া হয় ৷