সব খবর সরাসরি পড়তে আমাদের WhatsApp  Telegram  Facebook Group যুক্ত হতে ক্লিক করুন

চিতা ও চিতাবাঘের ম’ধ্যে কি কো’নো পা’র্থ’ক্য আছে? কি দে’খে চিনবেন?

সাত দশক আগে ভারতে চিতার অস্তিত্ব থাকলেও এই প্রাণী ধীরে ধীরে বিলুপ্ত হয়ে গেছে। শনিবার আফ্রিকা থেকে আটটি চিতা উড়িয়ে আনা হয়েছে ভারতে। জন্মদিনে সেই চিতাদের খাঁচামুক্ত করেছেন স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। মধ্যপ্রদেশের কুনো জাতীয় উদ্যানে রাখা হয়েছে বিশ্বের এই দ্রুততম প্রাণীদের।সেখানে রয়েছে প্রচুর চিতাবাঘও। চিতা বলছি, আবার চিতাবাঘও বলছি! ভাবছেন তো ভুল বকছি। না, একেবারেই তা নয়। অনেকেই চিতাকে গুলিয়ে ফেলেন চিতাবাঘের সঙ্গে। দু’টি প্রাণী সম্পূর্ণ পৃথক।

চিতা আর চিতাবাঘকে দেখতে অনেকটা এক রকম। ইংরেজিতে চিতাবাঘকে বলা হয় ‘লেপার্ড’। চিতা পুরোপুরি অন্য প্রাণী। তবে চিতা আর চিতাবাঘকে চিনবেন কিভাবে! এক্ষেত্রে সবচেয়ে সহজ উপায় হল তাদের মুখ। চিতার নাকের দুই ধার বরাবর চোখ থেকে চোয়াল পর্যন্ত থাকে গাঢ় কালো দাগ। লেপার্ড বা চিতাবাঘের মুখে এই দাগ থাকে না।

এছাড়া চিতার হলদে দেহে যে কালো ছোপগুলি থাকে তা অত্যন্ত স্পষ্ট এবং গাঢ়। সেই কালো রঙের মাঝে আর কোনও রং দেখা যায় না। কিন্তু চিতাবাঘের দেহের কালো ছোপ অন্যরকম। ফুলের মতো এই কালো দাগগুলি ছড়িয়ে থাকে আর মাঝে দেখা যায় হলুদ রং। মিশমিশে কালো ছোপ চিতাবাঘের দেহে থাকে না।

আরো পড়ুন: পুজোর আ’গে OnePlus-র প্রোডাক্টে বি’রা’ট ডিসকাউন্ট, এখনই সে’রা সুযোগ

চিতাবাঘ গাছে উঠতে পারে আর সেখানেই তারা শিকার সংরক্ষণ করে রাখে। চিতা গাছে উঠতেই পারে না। চিতাবাঘের নখ বিড়ালের মতো। তারা তাদের ধারালো নখ থাবার আড়ালে ঢুকিয়ে রাখে। শিকার ধরার সময় নখ বার করে তার উপর ঝাঁপিয়ে পড়ে। কিন্তু, চিতার নখ অনেকটা কুকুরের মতো। তা বাইরের দিকে বার করাই থাকে। যে কারণে তারা গাছে চড়তে পারে না।

স্থলভাগের সবচেয়ে দ্রুতগামী প্রাণী চিতা। ঘণ্টায় ১২০ কিলোমিটার বেগে ছুটতে পারে তারা। ৩ সেকেন্ডের মধ্যে চিতার গতি শূন্য থেকে ঘণ্টায় ১০৩ কিলোমিটারে পৌঁছে যেতে পারে অনায়াসে। অন্য দিকে, চিতাবাঘের সর্বোচ্চ গতি ঘণ্টায় ৫৮ কিলোমিটার।

চিতা এবং চিতাবাঘ, উভয়েই ভাল সাঁতার কাটতে পারলেও চিতা খুব একটা জলে নামতে চায় না।চিতাবাঘ সাধারণত ঘন জঙ্গলে থাকে। কিন্তু চিতাদের দেখা যায় লম্বা লম্বা ঘাসওয়ালা বিস্তীর্ণ তৃণভূমিতে। চিতাবাঘ অসুস্থ বা আহত হলে মানুষের উপর আক্রমণ করে। অতর্কিতে হামলা করে শিকার করার স্বভাব এদের। জঙ্গলে তৃণভোজী প্রাণীর অভাব হলে চিতাবাঘ অনেক সময় শিকারের খোঁজে লোকালয়ে চলে আসে। কিন্তু, চিতা মানুষ মারে না।

চিতা আর চিতাবাঘের মধ্যে লড়াই চলতেই থাকে। চিতাবাঘের এলাকায় চিতা ঢুকে পড়লেই চিতাকে তাড়া করে চিতাবাঘ। অনেক ক্ষেত্রে চিতাবাঘের আক্রমণে চিতার মৃত্যুর কথাও শোনা যায়। রাতে ভাল দেখতে না পাওয়ার কারণে চিতা সাধারণত দিনের আলোতেই শিকার করে থাকে। অন্যদিকে চিতাবাঘের চোখের কোষ রাতেই বেশি সংবেদনশীল। তাই তারা রাতেই শিকার ধরতে পছন্দ করে। সময়বিশেষে অবশ্য দিনেও শিকার করে থাকে এরা।