কিছুদিন আগেই প্রাইমারী পরীক্ষার্থীরা আন্দোলন শুরু করেছিল তাদের হকের চাকরির দাবিতে। এবার সেটার প্রভাব সরকারের ওপরে কিছুটা কমলেও , সরকারী কর্মচারীদের প্রভাব দারুণ ভাবে পরেছে। কারণ তাদের বকেয়া মহার্ঘ ভাতার দাবিতে সরব হয়েছে তারা। গত ২৭ জানুয়ারী থেকে তারা শহীদ মিনারের সামনে তাদের বকেয়া ডিএ মিটিয়ে দেওয়ার দাবিতে আন্দোলন করছে। সংগ্রামী যৌথ মঞ্চএর তরফ থেকে এই আন্দোলনের ডাক দেওয়া হয়েছে। আজ বুধবার ২৭ তম দিন আন্দোলনের।
তাছাড়া ১৩ তম দিন সরকারী কর্মীদের সংগঠন গুলোর অনশনের। আগামীকাল বৃহস্পতিবার মাধ্যমিক পরীক্ষা। আর সেটার কথা মাথায় রেখেই ধর্মঘট ডাকা হল না। তবে মাধ্যমিক পরীক্ষার পর ৯ ই মার্চ আবার ধর্মঘটের ডাক দেবে সরকারী কর্মচারীরা। সরকারী কর্মচারীরা কেন এই ধর্মঘট ডাকতে চলেছে? শুধু কি বকেয়া ডি এ মিটিয়ে দেওয়ার দাবিতেই?
আসলে সেটা না কারণ জানা গেছে একাধিক ডি এ আন্দোলনকারী দের ওপরে নাকি হয়েছে হামলা। তাদের তরফ থেকে অভিযোগ উঠেছে, গত দুদিন আন্দোলন ভাঙ্গার চেষ্টা করা হয়েছে। এমনকি মহিলা আন্দোলনকারীদের ওপরে হামলা করা হয়েছে। আর সেই কারণেই আজ বুধবার সরকারী কর্মচারীরা ধিক্কার কর্মসূচী পালন করবেন।
একটা সময় হাইকোর্টের তরফ থেকে বকেয়া ডি এ মিটিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল রাজ্য সরকারকে। কিন্তু সেটা রাজ্য সরকার মানে নি। যার কারণেই আদালত অবমাননার মামলা দায়ের করেছে রাজ্য সরকারী কর্মীরা রাজ্যের বিরুদ্ধে। হাইকোর্টের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে স্পেশাল লিভ পিটিশন দাখিল করা হয়েছে রাজ্যের তরফ থেকে।
এখন উচ্চ আদালতের তরফ থেকে কেমন শুনানি হয় তার অপেক্ষায় সকলে। আগামী ১৫ ই মার্চ ডি এ মামলার শুনানি হওয়ার কথা উচ্চ আদালতে। সেদিনই নাকি বিচারপতি দীনেশ মাহেশ্বরী এবং বিচারপতি হৃষিকেশ রায়ের ডিভিশন বেঞ্চ ডি এ নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে চলেছে বলেই খবর।