গত বছর গরুপাচার মামলায় সিবিআইয়ের হাতে গ্রেফতার হন বীরভূমের তৃণমূল জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল। তারপর থেকেই তিনি রয়েছেন শ্রীঘরে। গত ৭ মার্চ তাকে আসানসোল থেকে দিল্লি নিয়ে যায় ইডি। তখন থেকে দিল্লির তিহাড় জেলেই থাকতে হচ্ছে ‘বীরভূমের বাঘ’কে।
জিজ্ঞাসাবাদ করতে অনুব্রতর কন্যাকেও দিল্লিতে ডেকে পাঠিয়েছে ইডি। গরুপাচার মামলা এবং এত বিপুল সম্পত্তির হিসেব চেয়ে সুকন্যাকে দফায় দফায় জেরা করছেন ইডি আধিকারিকরা।এইসব প্রশ্ন এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন তিনি। কান্নায় ভেঙে পড়েন সুকন্যা। ইডি অফিসারদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ”আমি কিছু জানিনা। ব্যবসা সংক্রান্ত কোনও খবর আমি দিতে পারব না। আমি বাবার সঙ্গে কথা বলতে চাই।”
সূত্রে খবর, কোথা থেকে এলো অনুব্রত ও সুকন্যার এত সম্পত্তি, সে বিষয়ে দুজনকে মুখোমুখি বসিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করবে ইডি। অন্যদিকে, গত সোমবার অনুব্রতকে দিল্লির রাউস অ্যাভিনিউ আদালতে তোলা হয়। সেখানেই সাংবাদিক দের উদ্দেশ্যে সুকন্যার গ্রেফতারি নিয়ে মাত্র চার শব্দে প্রতিক্রিয়া দেন অনুব্রত।
আরো খবর: বনগাঁ পেট্রোপোল সী’মা’ন্তে আসবেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, ব্যা’পা’র’টা কি?
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন,‘‘মেয়েকে গ্রেফতার করা অন্যায়।’’ বর্তমানে বাবা – মেয়ে দুজনেই রয়েছেন তিহাড় জেলে। সূত্রে খবর , জেলের ৬ নম্বর মহিলা সেলে রয়েছে সুকন্যা এবং ঠিক তার পরের ৭ নম্বর সেলেই রয়েছেন বাবা অনুব্রত। এত কাছাকাছি থাকলেও মেলেনি দেখা করার সুযোগ।
তবে শেষ পর্যন্ত শনিবার খুব অল্প সময়ের জন্য তাদের দেখা হয় এবং কিছু কথাও হয়। বন্দি অবস্থায় দুজন দুজনকে দেখে আবেগঘন হয়ে পড়েন। মেয়ের গ্রেফতারি প্রসঙ্গে তিনি বলেন,” কোনও ‘বাহাদুরির’ কাজ করেনি। মেয়েকে অ্যারেস্ট করে নিল? বিবেক বলে কি কিছু নেই?”