সব খবর সরাসরি পড়তে আমাদের WhatsApp  Telegram  Facebook Group যুক্ত হতে ক্লিক করুন

ঝ’ড় বৃ’ষ্টি’র দা’প’টে না’জে’হা’ল অ’ব’স্থা পূর্ব মেদিনীপুরে’র কৃষক’দের

ঝড় বৃষ্টির দাপটে নাজেহাল অবস্থা পূর্ব মেদিনীপুরের কৃষকদের

পূর্ব মেদিনীপুরের কৃষক’দের গ্রীষ্মের এই দাবদাহে ঝড়-বৃষ্টিতে স্বস্তির মধ্যে দি’শে’হা’রা অবস্থা। কোথাও ঝরে গেছে ধানের শীষ, কোথাও আবার জলে ডুবে গেছে মাঠে কেটে রাখা ধান। ধান কেটে ঘরে তোলার আগেই ঝড় বৃষ্টিতে ন’ষ্ট হয়ে গেছে বিঘার পর বিঘা ফসল। পরপর বৃষ্টিতে ব্যাপক ক্ষতি ধান চাষিদের।

বিভিন্ন সময়ে তিন ধরনের ধান চাষ হয়। আউশ, আমন, বোরো, এই তিন ধরনের ধান চাষের সঙ্গে যুক্ত পূর্ব মেদিনীপুর জেলার কৃষকেরা। গ্রীষ্মকাল, বোরো ধান মাঠ থেকে ঘরে তোলার সময়। ধান তোলার সময় পরপর ঝড় বৃষ্টিতে নষ্ট হচ্ছে বোরো ধান। ক্ষতির মুখে জেলার চাষিরা। তীব্র গরমে নাজেহাল অবস্থা থেকে মুক্তি পেতে সব মানুষই চেয়েছিল বৃষ্টি। ঝড় বৃষ্টির কারণে দক্ষিণবঙ্গ জুড়ে তাপপ্রবাহ কমেছে।

গরম থেকে স্বস্তি পেয়েছেন মানুষজন। কিন্তু ক্ষতির মুখে পড়েছেন ধান চাষিরা। পরপর ঝড় বৃষ্টির ফলে পূর্ব মেদিনীপুর জেলার বিভিন্ন ব্লকের বোরো ধান চাষের সঙ্গে যুক্ত চাষিরা সমস্যায় পড়েছেন। জেলা জুড়ে প্রায় ১ লক্ষ ৩০ হাজার হেক্টর জমিতে এই ধান চাষ হয়। কিছু পরিমাণ ধান মাঠ থেকে ঘরে তুলে আনলেও, বেশিরভাগ ধান এখনো মাঠে পড়ে আছে। আর মাঠে পড়ে থাকা ধান ঝড় বৃষ্টির কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। কালবৈশাখীর প্রচন্ড ঝড়ের সঙ্গে অঝোর বৃষ্টি।

কৃষকদের দাবি, ঋণ নিয়ে চাষ করেছিলেন তাঁরা। এক বিঘা জমি ধান চাষ করতে ১৫-১৮ হাজার টাকা খরচ হয়। কিন্তু ঝড়-বৃষ্টিতে মাঠের ধান মাঠে নষ্ট হয়ে যাওয়ায় সিঁদুরে মেঘ দেখছেন তারা। পূর্ব মেদিনীপুর জেলার সবচেয়ে বেশি ধান নষ্ট হয়েছে এগরা মহাকুমা এলাকায়।