সব খবর সরাসরি পড়তে আমাদের WhatsApp  Telegram  Facebook Group যুক্ত হতে ক্লিক করুন

স’র্ব’না’শ করে দিলো হাতির দ’ল, বিঘার পর বিঘা জমি ন’ষ্ট, রইলো ছবি

এক পাল হাতির দল বাঁকুড়ার জঙ্গল থেকে বৃহস্পতিবার সকালে পূর্ব বর্ধমানের গলসি এবং আউসগ্রামে ঢুকে পড়ে। প্রায় 49 টি হাতির দল এদিন জঙ্গল ছেড়ে গ্রামের মধ্যে ঢুকে পড়ে। শুধু তাই নয় তারা রীতিমতো তাণ্ডব চালিয়েছে ফসলের জমিতে। এদিকে সারাদিনের প্রচেষ্টার পরেও বন দফতরের কর্মীরা কার্যত হাতির পালকে জঙ্গলে ফেরাতে ব্যর্থ হয়েছেন।

বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার থেকে বনকর্মীরা চেষ্টা চালান তাদের ওই পথে ফেরত পাঠাতে। কিন্তু  ভোতা গ্রামের কাছে হাতির দলটি যেতেই স্থানীয় জনতা জড়ো হয়ে বিক্ষোভ শুরু করেন। তারা তাদের ফসলের ওপর দিয়ে হাতির দলকে যেতে বাধা দেন।

এদিকে বৃহস্পতিবার হাতি দাঁড়াতে গিয়ে প্রতি পদে পদে এলাকার মানুষের বাধার মুখে পড়তে হয়েছে বন দপ্তরের কর্মীদের। গ্রামবাসীরা ফসলি জমির উপর দিয়ে হাতির দলকে পার হতে বাধা দিয়েছেন। টায়ার জ্বালিয়ে তারা বিক্ষোভ দেখিয়েছেন। এমনকি বন দপ্তরের কর্মীদেরও মারধোর করতে উদ্যত হয়েছেন তারা। বাধ্য হয়ে বন দফতরের কর্মীরা সেখান থেকে পালিয়ে যান।

বাঁকুড়ার জঙ্গলে হাতির দলকে ফেরত পাঠাতে রীতিমত কালঘাম ছুটছে বনদফতরের।  বৃহস্পতিবার সকালে পূর্ব বর্ধমানে গলসি ও আউশগ্রামে ঢোকার পর শুক্রবার পর্যন্ত আউশগ্রামের মাটি ছাড়েনি বাঁকুড়া থেকে আসা ৪৯ টি হাতির দল।

সে সুযোগে হাতির দল ফিরে এসে আবার শিবদা এবং নওয়াদার দিকে এগোতে থাকে। এদিকে শুক্রবার সকালেও গুসকরা শহরের ধারে ইটাচাঁদা এলাকায় ঘোরাঘুরি করতে থাকে হাতির দলটি।

তবে শুক্রবার দুপুর নাগাদ লোকালয় থেকে সরিয়ে  নিয়ে গিয়ে আউশগ্রামের যাদবগঞ্জের  জঙ্গলের  ঢুকিয়ে দেওয়া হয় হাতির দলটিকে।  জঙ্গলের  চারপাশ ঘিরে নজরদারি চালাচ্ছেন বনকর্মীরা। রাত থেকে আবার হাতিগুলিকে তাড়ানোর কাজ শুরু হবে বলে জানান জেলা বনের আধিকারীক নিশা গোস্বামী । বৃহস্পতিবার  হাতি তাড়ানোর  কাজ করতে গিয়ে পদে পদে এলাকার মানুষজনের বাধার মুখে পড়তে হয়েছে বনকর্মীদের।  উত্তেজিত জনতার  হাতে মারও খেতে হয়েছে।

বন দপ্তরের কর্মীদের নতুন লড়াই শুরু হয়েছে। তারা আপাতত রাতের জন্য অপেক্ষা করছেন। যাতে রাতের দিকে যখন জনতার ভিড় থাকবে না তখন হাতিগুলোকে বাঁকুড়ার দিকে পাঠানোর পর শুরু করা যাবে।