একুশের বিধানসভা নির্বাচনের পর এবার তৃণমূলের লক্ষ্য ২০২৪ এর লোকসভা নির্বাচন। তৃণমূলের তরফ থেকে ইতিমধ্যেই দলের “এক ব্যক্তি এক পদ” নীতি চালু করা হয়েছে। এবার সংসদে তৃণমূল কংগ্রেসও তাদের দলনেতা পরিবর্তন করতে চলেছে। এই মুহূর্তে লোকসভায় তৃণমূল কংগ্রেসের দলনেতা রয়েছেন সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়। এছাড়াও তিনি খাদ্য, গণবণ্টন এবং উপভোক্তা বিষয়ক সংসদীয় কমিটির চেয়ারম্যান পদেও রয়েছেন।
অতএব তৃণমূল কংগ্রেসের নির্ধারিত নতুন সিদ্ধান্ত অনুসারে তাকে যেকোনো একটি পদ ছেড়ে দিতে হবে। তৃণমূল কংগ্রেসের আগামীদিনের বিরোধী দলনেতা হতে চলেছেন প্রবীণ নেতা সৌগত রায়। লোকসভা–রাজ্যসভায় দলের নেতা, উপনেতা এবং মুখ্য সচেতক পদেও ব্যাপক পরিবর্তন আনতে চলেছে তৃণমূল। এমনটাই জানা যাচ্ছে আপাতত। কংগ্রেসও লোকসভায় বিরোধী দলনেতা পদ থেকে মমতা বিরোধী মুখ অধীররঞ্জন চৌধুরীকেও সরিয়ে দেওয়া হচ্ছে।
সূত্রের খবর, কংগ্রেসের তরফের বিরোধী দলনেতা হিসাবে মনোনীত হতে চলেছেন ওয়াইনাড়ের সাংসদ রাহুল গান্ধী। প্রসঙ্গত রাহুল গান্ধীর সঙ্গে তৃণমূলের বেশ ভালই সখ্যতা রয়েছে। অতএব ২০২৪ এর লোকসভা নির্বাচনে মোদি বিরোধী শক্তি হিসেবে একজোট হয়ে লড়াইয়ে বদ্ধপরিকর তৃণমূল এবং কংগ্রেস। এদিকে আগামী ১৯লে জুলাই থেকেই শুরু হয়ে যাচ্ছে সংসদের বাদল অধিবেশন। তার আগেই তৃণমূল কংগ্রেস সাংগঠনিক ধরে ব্যাপক রদবদল ঘটাতে চলেছে বলে জানা যাচ্ছে।
তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ইতিমধ্যেই তার এই সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছেন দলকে। সংসদের পেছনের সারি থেকে সামনের সারিতে তুলে আনা হয়েছে সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়, কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের মতো নেতারা। একইসঙ্গে সৌগত রায়কে বিরোধী দল নেতা হিসেবে মনোনীত করা হচ্ছে। কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় বর্তমানে দলের মুখ্য সচেতক। তাকে উপনেতা করার সম্ভাবনা রয়েছে। বারাসাতের সাংসদ কাকলি ঘোষ দস্তিদার হতে পারেন মুখ্য সচেতক।
