সব খবর সরাসরি পড়তে আমাদের WhatsApp  Telegram  Facebook Group যুক্ত হতে ক্লিক করুন

ইউরিক অ্যাসিডকে নি’য়’ন্ত্র’ণে রা’খ’তে বাবা রামদেবের যুগান্তকারী টো’ট’কা

বর্তমান সময়ে আজেবাজে খাওয়া আমাদের শরীরে নানা ধরনের সমস্যা তৈরি করতে পারে। এমনই একটি সমস্যা হল ইউরিক অ্যাসিড বৃদ্ধি। ইউরিক অ্যাসিড আমাদের সকলের শরীরে তৈরি হয়। তাই শরীরে ইউরিক অ্যাসিড থাকা স্বাভাবিক। তবে সেই ইউরিক অ্যাসিড স্বাভাবিক মাত্রার থেকে বেশি হলেই যত সমস্যা তৈরি হয়। এক্ষেত্রে শরীরে ইউরিক অ্যাসিড বাড়ার কারণ হল বিপাকের সমস্যা। শরীর খাদ্যকে সঠিকভাবে বিপাক করতে না পারলে এই সমস্যা হয়। এক্ষেত্রে খাবারের মধ্যে থাকা পিউরিন ভেঙে অত্যধিক পরিমাণে ইউরিক অ্যাসিড তৈরি করে।

আর কিডনি কোনওভাবেই এই অতিরিক্ত ইউরিক অ্যাসিডকে বের করে দিতে পারে না। তখনই দেখা দেয় সমস্যা। এক্ষেত্রে অতিরিক্ত ইউরিক অ্যাসিড শরীরের গাঁটেগাঁটে ক্রিস্টাল হিসেবে জমে। বিশেষত পায়ের গোড়ালি, আঙুলের ডগায় এই সমস্যা বেশি হতে দেখা যায়। যেই জায়গায় ইউরিক অ্যাসিড জমে সেই জায়গায় ভীষণ ব্যথা থাকে। পাশাপাশি জায়গাটা ফুলে লাল হয়ে যায়।

ইউরিক অ্যাসিড পায়ে হলে হাঁটাও খুব কষ্টকর হয়ে যায়। এছাড়া ইউরিক অ্যাসিড দীর্ঘদিন বেশি থাকলে তা কিডনিতে জমে। ফলে কিডনি স্টোনের অন্যতম কারণ হল ইউরিক অ্যাসিড। চিকিৎসাবিজ্ঞানীর বলছেন, বর্তমানে এই রোগে আক্রান্তের সংখ্যা আগের থেকে অনেক বেড়েছে। খারাপ জীবনযাপনই এর নেপথ্যে অন্যতম কারণ। তাই মানুষকে নিজের জীবনশৈলি অনেকটাই বদলে দিতে হবে বলে জানাচ্ছেন তাঁরা।

এক্ষেত্রে রামদেব বাবার পরামর্শ মানতে পারলে সমস্যার সমাধান হতে পারে।

১। দিনে অন্তত পক্ষে ৭ ঘণ্টা শান্তির ঘুম চাই। তবেই শরীর থাকবে ভালো।

২। বাবা রামদেবের মতে, কিডনির স্বাস্থ্য ভালো রাখতে চাইলে এবং ইউরিক অ্যাসিড নিয়ন্ত্রণ করতে চাইলে অবশ্যই করতে হবে এই আসনগুলি। এক্ষেত্রে মাণ্ডকাসন, মুদ্রাসন, ভুজঙ্গাসন হতে পারে দারুণ কার্যকরী। এই প্রতিটি ব্যায়ামই ইমিউনিটি বাড়ানোর পাশাপাশি বিপাক ক্রিয়ার স্বাস্থ্য ফেরায়।

৩। তবে প্রথম থেকেই খুব বেশি চেষ্টা করবেন না। চেষ্টা করুন যতটা সম্ভব বিশেষজ্ঞের পরামর্শ মতো কাজ করার। এছাড়াও অনুলোম-বিলোম, ত্রিকোণাসন, শলভাসন, বক্রাসন ইত্যাদি আসনগুলিও হতে পারে দারুণ কার্যকরী।

৪। খুব বেশি প্রোটিন খাওয়া যাবে না। তাই মাছ, মাংস একটু কমান। রেডমিট তো যতটা সম্ভব এড়িয়ে যেতে হবে। বদলে খান ফল, শাকসবজি। দেখবেন ভালো আছেন। সমস্যা কমছে।

সবশেষে, মানুষের দুশ্চিন্তা রয়েছে বহু সমস্যার। তাই চিন্তা দূর করতে হবে। সেক্ষেত্রে প্রাণায়াম করুন, সুস্থ থাকুন।