করোনাভাইরাস এর দাপটে এবারও কি টেলিভিশন ইন্ডাস্ট্রিতে তালা পড়তে চলেছে? এই নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করছে ছোটপর্দার কলাকুশলীরা। আমরা দেখেছি প্রথম লকডাউনে এবং দ্বিতীয় লকডাউনে, প্রথম পর্যায়ের করোনা ঢেউ তেমন একটা প্রভাব ফেলতে না পারলেও দ্বিতীয় পর্যায়ের করোনা ঢেউ তার কাজ ঠিক মতোই করেছে। বর্তমানে ছোটপর্দার কলাকুশলীরা একেবারেই চাইছেনা work-from-home করতে, কারণ বাড়িতে বসে শুটিং করা এবং জোড়াতালি দিয়ে সেটা দর্শককে দেখানো, মোটেই ভাল কাজ নয়। এই ধরনের জোড়াতালি কাজ করে সিরিয়ালের টিআরপি একেবারেই নিচে নেমে যায়। আর বর্তমানের টিআরপির মূল্য যে কতটা তা আর বলে বোঝানো সম্ভব নয়। টিআরপির উপর নির্ভর করে সিরিয়ালের গ্রাফ ওঠানামা করে, এটাতেই যদি গলদ হয় তাহলে তো সব শেষ।
সিরিয়ালের প্রযোজক ও চিত্রনাট্যকার লীনা গঙ্গোপাধ্যায় তিনি স্পষ্ট জানিয়েছেন, একেবারে করা বিধিনিষেধ মেনে আমরা কাজ করছি। চেষ্টা করছি কলাকুশলী এবং অভিনেতাদের কম সংখ্যায় নিয়ে কাজ করার। করোনার বিধিনিষেধ দারুণভাবে মেনে চলছে সবাই। আমাদের এই বিধি নিষেধ না মেনেও কোনো উপায় নেই। এটা আমাদের ভালোর জন্যই করা। একটা সময় যখন করোনা সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণের মধ্যে ছিল, তখন নিয়ম মানার ক্ষেত্রে গা ঢিলামি দিলেও, এখন সেটা মোটেই চলবে না।সবাই এখন সতর্ক হয়েই কাজ কর্ম করছে। এদিকে আবার আর্টিস্ট ফোরামের যুগ্ম সম্পাদক শান্তিলাল জানিয়েছেন, এর আগে যে সমস্ত কোভিড প্রোটোকল ছিল, তা মানতে বলা হচ্ছে সমস্ত কলাকুশলী ও অভিনেতা দের।
ইতিমধ্যেই রাজ্যের করোনা গ্রাফ ঊর্ধ্বমুখী, এদিকে ছোট পর্দার অনেকেই করোনা আক্রান্ত। কিন্তু সূত্রের মাধ্যমে জানা যাচ্ছে, প্রোযোজকেরা নাকি বলেছে, কোভিড হলে সেটা বাইরে চাউর করার দরকার নেই। এমনকি স্যোশাল মিডিয়ায় পোস্ট করার দরকরা নেই এইসব নিয়ে এমনটাও জানানো হয়েছে, কারণ একটাই যদি কাজ ফের বন্ধ হয়ে যায়,তাহলে কিন্তু মুশকিল। কারণ অনেক অভিনেতা অভিনেত্রী শরীর অসুস্থ নিয়েই কাজে যাচ্ছে, যা কিনা সূত্রের মাধ্যমে জানা যাচ্ছে। অনেকেই মিডিয়ার সাথে কথা বলতে অস্বীকার পর্যন্ত করছে এই সময়ে। তাই কোনো অভিনেতা অভিনেত্রী চাইছে না কোনোভাবেই তাদের কাজ বন্ধ হয়ে যাক। কারণ তারা ভালোমতোই জানে, এই সময়ে আবার কাজ বন্ধ হয়ে গেলে অনেক মানুষই পথে এসে দাঁড়াবে।।