সব খবর সরাসরি পড়তে আমাদের WhatsApp  Telegram  Facebook Group যুক্ত হতে ক্লিক করুন

উপনির্বাচনে হা’রে’র কারণে দলের অন্দরে বি’ক্ষো’ভে’র মু’খে সুকান্ত-শুভেন্দু, হয়তো খু’শি দিলীপ-লকেটরা!

রাজ্যের দুই উপনির্বাচনের ফলাফল প্রকাশ হয়েছে। আসানসোল এবং বালিগঞ্জে বিজেপিকে হারিয়ে এগিয়ে গিয়েছে তৃণমূল। ভোটের ফলাফল প্রকাশ পেতেই বিজেপির অভ্যন্তরে অন্তর্দ্বন্দ্ব প্রকাশ পাচ্ছে।

সোশ্যাল মিডিয়াতে বিজেপি সদস্যরা এই ফলাফল এর দায়ভার রাজ্যের দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতাদের উপর চাপিয়ে দিয়েছেন। আসানসোল লোকসভা নির্বাচনে দ্বিতীয় হয়েছেন বিজেপি প্রার্থী অগ্নিমিত্রা পল।

অন্যদিকে বালিগঞ্জে বিজেপি প্রার্থী কেয়া ঘোষ তৃতীয় স্থানে ছিটকে গিয়েছেন। তার জামানত বাজেয়াপ্ত হয়েছে। বিজেপির একটি সোশ্যাল মিডিয়া পেজ থেকে বাংলার নেতৃত্বকে কটাক্ষ করেছেন সদস্যরা।

আরো পড়ুন: বাংলা নি’য়ে ক’থা উ’ঠ’লো সোনিয়া গান্ধীর স’ঙ্গে, প্রশান্ত কিশোরকে “টোটকা” ব’লে দিলেন কংগ্রেসকে

শুভেন্দু অধিকারী, সুকান্ত মজুমদারদের নিশানা বানানো হয়েছে এই পোস্টে। অন্যদিকে লকেট চট্টোপাধ্যায়, দিলীপ ঘোষ নাকি এই ফলাফলে বেশ খুশি!

পশ্চিমবঙ্গে বিজেপি দলের সাংগঠনিক ত্রুটির কথা বারবার তুলে ধরেছিলেন লকেট চট্টোপাধ্যায় এবং দিলীপ ঘোষ। অথচ তাদের গুরুত্ব দেওয়া হয়নি।

দিলীপ ঘোষ এবং লকেট চট্টোপাধ্যায়ের পথ বদলানো হয়েছে। এরফলে বঙ্গ বিজেপির দূরত্ব বেশ খানিকটা বেড়েছে। উপনির্বাচনে তারকা প্রচারকদের তালিকাতে লকেট চট্টোপাধ্যায়, দিলীপ ঘোষদের নাম ছিল না। তখন থেকেই গুঞ্জন উঠেছিল চরমে।

দলের অভ্যন্তরে গুঞ্জন, বিজেপির এই দুই নেতা এবং নেত্রী চাইছিলেন নির্বাচনে গেরুয়া শিবিরের এই দুই প্রার্থী বড় ব্যবধানে হেরে যান।

আরো পড়ুন: পৃথিবীর একমাত্র একটি দেশ! এখানে মা’ত্র ২ বছর বয়সী বাচ্চারা নিজেরাই ক’রে শপিং

বিজেপির তরফের প্রচার নিয়ে রাজ্য বিজেপির ক্ষমতাসীন গোষ্ঠীর বিচিত্র আচরণে হতাশ হয়ে পড়েন বালিগঞ্জ ও আসানসোল কেন্দ্রের বিজেপি কর্মীরা। বর্তমানে দলে নব্য এবং তৎকাল বিজেপির হাতে গোনা দুই চার জন নেতা ছাড়া কাউকে কিছু জানানো হচ্ছে না।

শনিবার উপনির্বাচনের ফলাফল প্রকাশের পর বিজেপির অন্তর্দ্বন্দ্ব আবার একবার প্রকাশ্যে এলো। শুভেন্দু অধিকারী, সুকান্ত মজুমদার, অমিত মালব্যদের নাম উল্লেখ করে দলের একাংশ টুইট বার্তায় বিঁধেছে। অগ্নিমিত্রা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির কাছে পরাজয়ের জন্য ক্ষমা চেয়ে নিয়েছেন।